স্বপ্ন রোজ, নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে কিউআইও’র মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর) কাছে শেয়ার বিক্রি করে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া এগ্রো অর্গানিকার প্রধান সরবরাহকারীদের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। অস্তিত্ববিহীন কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে অর্থ উত্তোলনের পায়তারা করছে কোম্পানিটি।
জানা যায়, এগ্রো অর্গানিকার কাঁচামাল সরবরাহকারীদের নামের তালিকায় রয়েছে-এ এস রহমান ট্রেডার্স,মেসার্স লক্ষ্মী ভান্ডার,ফেমাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকিং লিমিটেড। এগ্রো অর্গানিকার পণ্য সরবরাহকারীদের অস্তিত্ব নেই,তবে কিভাবে উৎপাদন করছে পণ্য?
অনুসন্ধানে জানা যায়, মসলা সরবরাহকারী- এ এস রহমান ট্রেডার্স (ঠিকানা- ৬/৩ মৌলভীবাজার, ঢাকা-১১০০) ২ বছরের বেশি হলো এ এস রহমান ট্রেডার্স দোকান টি বন্ধ হয়েছে সেই ঠিকানায় এখন মিজান ট্রেডিং নামের একটি দোকান আছে। তারাও মসলা ক্রয়-বিক্রয় করেন, দোকানের মালিক মিজান বলেন- এর আগের কখনো এগ্রো অর্গানিকা নাম শুনিনি।
তবে এ এস রহমান ট্রেডার্স এর মালিক সাইদুর রহমান কে আমরা খুঁজে বের করেছি। তিনি এখন নতুন দোকান দিয়েছেন যার নাম সাইদুর রহমান এন্ড ব্রাদাস। জনাব সাইদুর রহমান জানান -৪ থেকে ৫ বছর আগে এ এস রহমান ট্রেডার্স দোকানটি আমার ছিল তখন এগ্রো অর্গানিকার এরিয়া ম্যানেজার মসলা নিতে আসতো। তবে ৩/৪ বছর যাবত এই মার্কেটে আর দেখা যায়নি।
সর্বোচ্চ কত টাকার মসলা নিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি জানান -সর্বোচ্চ ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মসলা নিত। উক্ত বিল চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করত, চেক ক্যাশ করতে ১৫-২০ দিন সময় লাগতো।
মসলা সরবরাহকারী- মেসার্স লক্ষ্মী ভান্ডার
(ঠিকানা-১৫/এ, কাজী জিয়াউদ্দিন রোড, বাবু বাজার, ঢাকা-১১০০) মেসার্স লক্ষ্মী ভান্ডার নামের কোন দোকান খুঁজে পাওয়া যায়নি সেখানে রয়েছে ফার্মেসির দোকান।ফার্মেসির দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়-কয়েক বছর আগে এখানে লক্ষ্মী ভান্ডার ছিল। লক্ষ্মী ভান্ডারের মালিক নিজাম উদ্দিন দোকান মালিক সমিতির সেক্রেটারি তার সাথে কথা বলুন
লক্ষ্মী ভান্ডারের মালিক নিজাম উদ্দিন জানান, মেসার্স লক্ষ্মী ভান্ডার অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। লক্ষ্মী ভান্ডার ছিল চালের দোকান। কোন সময় মসলা বিক্রি করিনি।
লক্ষ্মী ভান্ডারের ম্যানেজার মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ জানান, ৪০ বছর ধরে একই মালিকের ম্যানেজার হিসেবে আছি আমাদের কোন মসলার দোকান ছিল না।
ফেমাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকিং লিমিটেড।
(ঠিকানা-ইসলাম লজ, হাউস ১৪, রোড ১৬/এ, গুলশান-১, ঢাকা) ফেমাস প্রিন্টিং এর জিএম জনাব হাসান জানান, আমাদের সাথে এগ্রো অর্গানিকার কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে প্রতিবেদক এগ্রো অর্গানিকার ব্যবস্থাপক পরিচালক মোহাম্মদ আজহার খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার সত্বেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইস্যু ম্যানেজার বলেন,কোন কোম্পানির যদি প্রধান সরবরাহকারীদের অস্তিত্ব না থাকে তাহলে তারা কোথা থেকে পণ্য কিনেন তা তারাই ভালো জানেন, এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না
চলবে...........
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/