ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি: নানবিধ সমস্যার কারনে রাজশাহীর ৯ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।
জেলার গোদাগাড়ি, তানোর, মোহনপুর, বাঘমারা, দূর্গাপুর, পবা, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা সেবা দেয়ার চেষ্টা করলেও দৃশ্য ও অদৃশ্য কিছু বাধাঁর কারনে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছেন না।
দৃশ্যমান সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউ এইচ এফ পিও) পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানান, আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা, নুতন নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া, চিকিৎসকদের ব্যবহারিত সরঞ্জাম,দক্ষ লোক নিয়োগসহ সুষ্ঠু মনিটরিং প্রয়োজন।
একইভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারদিকে অপরিকল্পিত ভাবে প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোর সরকারী অনুমোদন এবং চিকিৎসা সেবার মান নির্নয় করতে হবে।
প্রাইভেট ক্লিনিক সেবার মান নিয়ে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে দক্ষ বা গ্র্যাজুয়েট নার্স থাকে না, অনেক সময় ভূয়া চিকিৎসক পরিচয়ে সাধারন রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রাইভেট ক্লিনিক কর্তৃক নিয়োগকৃত কিছু সহযোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেয়। যা একসময়ের ভুল সিন্ধান্তে অনেক বড় ক্ষতিসহ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
দৃশ্য ও অদৃশ্য কিছু বাধাঁর বিষয়ে চারঘাট ইউ এইচ এফ পিও চিকিৎসক আশিকুর রহমান বলেন, পূর্বের নির্মিত অনেক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
তবে বর্তমান সরকার পূনরাই নতুন ভবনের অনুমোদন দিয়েছেন। ইতোমধ্যে এই উপজেলার নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনিয় চিকিৎসক, ওটির জন্য আধুনিক সরঞ্জাম, ডেন্টাল চিকিৎসা সেবার জন্য আধুনিক ব্যবস্থা, রোগীদের ঔষধ ও খাবারের মান উন্নয়ন করা, বার্বুচিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীর শূন্য পদ গুলোতে দক্ষ লোকবল নিয়োগ দেওয়া।
অদৃশ্য আলোচনা গুলো অদৃশ্যই থেকে যাচ্ছে। যার প্রমান প্রতিটি উপজেলায় দৃশ্যমান। অবৈধ ক্লিনিক গুলো স্থানীয় প্রশাসন নিয়ে বন্ধ করে দিলেও কিছুদিন পরে পূনরাই তাদের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
অদৃশ্য শক্তির কারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসক গুলো তাদের কর্তব্য সঠিক ভাবে পালন করতে পারছে না।
প্রকৃত অর্থে অনেক কিছুই অদৃশ্য থেকে যাচ্ছে।
এদেশের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক আশিকুর রমান বলেন, এদেশের একজন চিকিৎসকরা প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০টি রোগীকে চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
একটি রোগীকে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মনিটরিং করতে হয়। কিন্ত একজন চিকিৎসক সেও মানুষ তাদেরও ক্লান্তি রয়েছে।
উপজেলা চিকিৎসা সেবাটা হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ের অথচ অনেকে আশা করেন উচ্চমানের চিকিৎসা সেবা। যার কারনে অনেকে ভুল বুঝে পাশের দেশ ভারতের চিকিৎসকদের কাছে ভির জমাচ্ছেন।
এদেশের প্রায় ৪০-৪৫% মানুষ পাশর্^বর্তি দেশ ভারতে চিকিৎকা সেবার জন্য যাচ্ছে। যেখানে অনেক অর্থ ব্যায়ে উন্নত মানের পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
অথচ একই খরচে বা তার কমে এদশেও চিকিৎসা সেবা রয়েছে। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় এদেশে অনেক ভালো চিকিৎসক আছেন।
এখন শুধু আমাদের নীতি নৈতিকতা বদলালে দেশ ও জাতি দুটই অর্থনৈতিক থেকে রক্ষা পাবে। ওই সময় ডাক্তার আমিনুল ইসলাম ও ডাক্তার মাহিনুল ইসলাম বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তি খন্ডন করেন।
রাজশাহী সিভিল সার্জন চিকিৎসক আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, জেলাসহ প্রতিটি উপজেলায় সকল বিষয়ে মনিটরিং চলছে।
চলমান ডেঙ্গু স্যালাইনসহ প্রয়োজনিয় ঔষধ সিন্ডিকেট প্রতিহত করতে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতী চারঘাট উপজেলায় প্রশাসন, পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কিছু ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আগামীতে প্রতিটি উপজেলায় সকল বিষয়ে মনিটরিং করা হবে। সম্প্রতী, সিভিল সার্জন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসা সেবা ও নতুন ভবনের চলমান কাজের মান উন্নয়ন পরিদর্শন করেন।
ওই সময় চারঘাট ইউ এইচ এফ পিও চিকিৎসক আশিকুর রহমান, আরএমও ডাক্তার আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/