পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশে নানা ধরনের টিকা উৎপাদনে ৩৩৮ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দিতে চায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেও তিনি এ কথা বলেন।
আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা বাড়াতে দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন চায় এডিবি।
বর্তমানে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন না হলে স্বল্প সুদের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, আগামীতে আরও নানা ধরনের ভাইরাস আসতে পারে। সে জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি দরকার। সরকার সেজন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
সেখানে এডিবি ৩৩৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। এর মধ্যে অর্ধেক স্বল্প সুদে এবং অর্ধেক বাজারের দরের কাছাকাছি সুদ থাকবে। প্রকল্পটি যাতে দ্রুত অনুমোদন করিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য এডিবি অনুরোধ করেছে।
এম এ মান্নান বলেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেছেন, গত অর্থবছর বাংলাদেশে তার সবচেয়ে ভালো সময় কেটেছে।
কাজের পরিবেশ, অর্থছাড়, প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ঋণ অনুমোদন সব ক্ষেত্রেই ভালো সময় পার করেছেন এডিমন গিন্টিং।
এ সময় এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, গত অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে দুই বিলিয়ন ডলার স্বল্প সুদে এবং দেড় বিলিয়ন ডলার বাজার দরের কিছু কম সুদের ঋণ।
তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী পর্যায়ে আগামী ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ আর স্বল্প দামে টিকা কিনতে পারবে না।
তখন আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ীই টিকা কিনতে হবে। এ জন্য এখন থেকে বাংলাদেশেই যেন টিকা তৈরি হয় সে জন্য সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/