শ্যামপুরে দলিল লেখকদের কলম বিরতি

আপডেট: October 19, 2023 |

শ্যামপুর সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখকরা কর্ম বিরতি ঘোষণা করে ধর্মঘট করেছে।এতে শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ মফিজ উদ্দিন মুন্সীর নেতৃত্বে অংশ নেন দলিল লেখকরা।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) তারা একটি সমাবেশের আয়োজন করেন।

কর্ম বিরতিতে থাকা দলিল লেখকরা বলছে, এনবিআর কর্তৃক উৎস কর অতিবৃদ্ধি, ব্যাংকে পে-অর্ডার এর পরিবর্তে চালান এবং ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক পৈত্রিক সম্পত্তি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে নামজারী বাধ্যতামূলক করার কারণে বেচা বিক্রয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় সাধারণ জনগণের একান্ত প্রয়োজনে জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে ট্যাক্সের গ্যাড়াকলে পড়ে দলিল লেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এতে তাদের আয় প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।

এ সময় শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ মফিজ উদ্দিন মুন্সী বলেন, আমাদের জমি জমা ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারের যে উৎস কর, রেজিস্ট্রেশন ফি এগুলো জনবান্ধব হয়নি । ফলে এখন মানুষ জমিজমা ক্রয় বিক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের জীবিকার ওপর যেমন প্রভাব পরেছে তেমনি আমি মনে করি ক্রয় বিক্রয় কমে যাওয়ায় সরকারও ব্যাপক রাজস্ব হারাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অধিকাংশ এলাকায় কাঠা প্রতি ১ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে উৎস কর নির্ধারন করেছে। সেই সাথে স্থাপনার মূল্যের উপর ৬-৮% করে অতিরিক্ত উৎস কর নির্ধারণ করেছে যা কোন ভাবেই বাস্তব সম্মত নয়। উৎস কর ছাড়াও রেজিষ্ট্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট, আই.টি, রেজিঃ ফি, ষ্ট্যাম্প শুল্ক ও স্থানীয় কর দিতে হচ্ছে। সব ট্যাক্স ও ফিস একত্রিত করলে দেখা যায় বর্তমান বাজার মূল্যের ৩০-৪০% বা তারও অধিক টাকা রেজিষ্ট্রি করতে খরচ লাগছে।

মফিজ উদ্দিন মুন্সী আরও বলেন, প্রবাসীদের জন্য টিন সার্টিফিকেট ও আয়কর প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করার কারণে এবং ভূমি মন্ত্রনালয় কর্তৃক সর্বশেষ রেকর্ড থাকা ব্যক্তির ওয়ারিশান সম্পত্তির নামজারী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এইসব উদ্ভূত নতুন জটিলতার কারনে জমির ক্রয়-বিক্রয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রবাসীরা জমি ক্রয়ে নিরুৎসাহিত হওয়ার কারণে রেমিটেন্স প্রবাহ নিম্নমুখী হচ্ছে এবং ভূমি খাতে বিনিয়োগ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে, এতে করে বিদেশে অর্থ পাচারের শঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের দাবি এই আইন সংশোধন করে অচিরেরই যেন সমাধান করে দেওয়া হয়। আমরা আমাদের কাজে ফিরে যেতে চাই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন।

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর