গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মিসরের রাফাহ সীমান্ত কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে গাজা ও মিসরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার খবর পেয়েছে।
বিবিসি বলেছে, তাদের প্রতিনিধি একটি ত্রাণবাহী ট্রাক সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখেছেন। এতে ওষুধ ও খাবার আছে।
কিন্তু জ্বালানি নেই। আর মিসর অংশে অবস্থানরত স্ট্রিংগারের বরাত দিয়ে সিএনএন বলেছে, ২০টি ট্রাক পৌঁছনোর পর সীমান্ত দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সকালে রাফাহ সীমান্ত খোলার সঙ্গে সঙ্গে মিসরীয় অংশের লোকেরা উল্লাস ও স্লোগান দিয়ে উদযাপন করে। হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় যে ২০ ট্রাক ত্রাণের বহর প্রবেশ করেছে তাতে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সীমিত পরিমাণে টিনজাত খাবার আছে।
এর আগে সকাল থেকে সীমান্ত অতিক্রমের জন্য অপেক্ষায় ছিল ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো। জাতিসংঘের একটি সংস্থা বলছে, এই ত্রাণের পরিমাণ গাজার প্রয়োজনীয় চাহিদার চেয়ে অনেক কম। যাকে জাতিসংঘ ‘সাগরে এক বিন্দু জল ফেলার’ সঙ্গে তুলনা করেছে।
ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থার একজন কর্মী জুলিয়েট তোমা বলেছেন, মানবিক সাহায্যের একটি টেকসই প্রবাহ হওয়া দরকার।
তিনি বলেছেন, ‘গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সত্যিই যা প্রয়োজন তা হলো টেকসই এবং অবিচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি। বিশেষ করে পানি এবং স্টেশনগুলোর জন্য জ্বালানি।’
তোমা আরো বলেছেন, ‘পানির পাম্পগুলোর জন্য জ্বালানি অপরিহার্য। গাজায় পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিছু জায়গায় পানি পুরোপুরি ফুরিয়ে গেছে।
দিনপ্রতি গাজায় পানির প্রয়োজন ১০০ লিটার। পানির সরবরাহ বন্ধের আগে গাজায় দিনপ্রতি ৮৪ লিটার পানি ঢুকত আর যুদ্ধের পর সেই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিন তিন লিটার।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/