যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার অপেক্ষায় দেশের সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার আরেক প্রতীক চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা সুড়ঙ্গপথ।
দেশের সড়ক যোগাযোগের ইতিহাসে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরেকটি মাইলফলক।
আজ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেল গাড়ীতে চড়ে পাড়ি দেয়া যাবে মাত্র তিন মিনিটেই।
দেশের একমাত্র এই টানেলটি চালু হলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক যোগাযোগ আরও সহজ হবে, পাশাপাশি শহরের পরিধি বাড়বে বলে মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
নতুন গল্পের দুয়ার এটি। যে দুয়ারের ভেতরের এই চিত্র কর্ণফুলী নদীর ওপরভাগ থেকে ৪২ মিটার নিচে।
এটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল বা সুড়ঙ্গ সড়ক। যে সড়ক দিয়ে কর্ণফুলী নদীর এক প্রন্তের মূল শহর থেকে আনোয়ারা প্রান্তে যেতে সময় লাগে মাত্র তিন মিনিট।
বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর ওপর দুটি সেতু আছে। কিন্তু কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাথে মূল শহরের যোগাযোগ আরও উন্নত করতে দরকার আরও সেতু।
কিন্তু নদীর নাব্যতা রক্ষা, বিশ্বের একমাত্র মিঠাপানির মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র হালদাসহ নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলী নদী রক্ষায় আর সেতু না করার পরামর্শ ছিলো বিশেষজ্ঞদের।
তাই নদীর তলদেশে টানেল করার উদ্যোগ নিয়ে ২০১৬ সালে চীনের সাথে চুক্তি করে সরকার। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করা হলেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১৯ সালের ২৪ শে ফেব্র“য়ারি।
নদীর তলদেশে কাজ করতে গিয়ে শুরুতে নানা ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় সেতু বিভাগকে।
প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার মূল ও সব মিলিয়ে সাড়ে ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেল এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হবে।
এই টানেল দিয়ে ২২ টন পর্যন্ত ওজনের গাড়ি চলতে পারবে। যাত্রীবাহী গাড়ীকে ২০০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ও পণ্যবাহী গাড়ীকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত টোল দিতে হবে।
দুই টিউব বিশিষ্ট চার লেনের এই টানেলের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যার ৬০ শতাংশ চীন ও বাকী অংশ বহন করছে বাংলাদেশ।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/