সোহরাব হোসেন, সিংগাইর প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার শান্তিপুর (বাঘুলি) পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় গভীর রাতে মাইক্রোবাসযোগে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরার সময় এক পুলিশ সদসস্যসহ ৫ জনকে আটক করেন পুলিশ।
এ ঘটনায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি )প্রতারণার অভিযোগে আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করলেও বাকি চারজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের শান্তিপুর বাজারে কম্পিউটার দোকানের সামনে থেকে তাদের আটক করেন শান্তিপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আব্দুস সালাম।
পরদিন দুপুরে আটককৃতদের সিংগাইর থানায় হাজির করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের ভূয়া আইডি কার্ড, এক জোড়া হাতকড়া, পুলিশের ব্যবহৃত একটি ট্র্যাকস্যুট, এক জোড়া ক্যানভাস স্যু এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেন পুলিশ ।
এ ঘটনায় ওই ফাঁড়ির এসআই আব্দুস সালাম বাদি হয়ে প্রতারণামূলক সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ব্যবহৃত পোশাক পরিধান করা বা প্রতীক ধারণ করার অভিযোগে আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামী মো: আরিফুল ইসলাম নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার বাঘাব এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে।
একই ঘটনায় ছেড়ে দেয়া অপর ব্যক্তিরা হলেন- ডিএমপির মোটরযান শাখায় কর্মরত পুলিশ সদস্য মোবারক এবং নরসিংদী জেলার নাঈম ও স্বপন। তবে পুলিশের হাতে আটককৃত আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সিংগাইর থানা পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার শান্তিপুর এলাকায় একটি মাইক্রোবাসযোগে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় ফাঁড়ির এস আই আব্দুস সালাম তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ।
এসময় আসামী আরিফুল ইসলাম নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেয়। কিন্ত জিজ্ঞাসাবাদে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে এসআই আব্দুস সালাম অন্যদেরকে ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জানা যায়, আটককৃত মোবারক একজন পুলিশ সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নাইম ও স্বপন আসামী আরিফুল ইসলামের আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দেয়।
এ সময় ব্যবহৃত গাড়ীসহর তাদেরকে আটক করে সিংগাইর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । এরপর পুলিশ সদস্য মোবারকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে তার কর্মস্থলে পৌছে দেয় সিংগাইর থানা পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক ।
অপরদিকে, কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নয় উল্লেখ করে নাঈম, স্বপন ও অপর আরেকজনকে ছেড়ে দেয়া হয় ।
মামলার বাদী শান্তিপুর (বাঘুলী) তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুল সালাম ৫ জনকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।
তবে যাচাই বাছাই করেই অন্য ৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জিয়ারুল ইসলাম বলেন, একজন ভূয়া পুলিশ তাই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকী ৪ জন নির্দোষ বিধায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/