রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর সামনে দৃশ্যমান করে নোটিশ ঝুলাতে ফায়ার সার্ভিসকে নির্দেশ দেন আদালত।
এ সময় আদালত ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন মারা যান।
১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভবন থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় তিনজন ব্যক্তি ও একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়।
গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গতকাল রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আর আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সকল আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার এবং হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (রাজউক), ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
একই দিন আসক, ব্লাস্ট ও বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত তানজিনা নওরিনের পরিবারের এক সদস্য পৃথক আরেকটি রিট করেন।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/