কুষ্টিয়ায় চাচার পাশেই দাফন হলো সাংবাদিক বৃষ্টির

আপডেট: March 12, 2024 |

আসাদুর রহমান, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে বড় চাচার কবরে পাশে নারী সাংবাদিকের দাফন সম্পন্ন গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে সেই সাংবাদিকের দাফন সম্পন্ন রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে তাকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। সে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়া এলাকার শাবলুল আলমের মেয়ে।

কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ শেখের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ।

এর আগে রাত সোয়া ৮টায় অ্যাম্বুলেন্সে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিজ এলাকা বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় এসে পৌঁছে।

এ সময় তাঁর বাড়ি ও আশপাশ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিলাপ করতে থাকেন মা বিউটি বেগম, বাবা সাবরুল আলম সবুজ ওরফে সবুজ শেখ, দুই বোন বর্ষা ও ঝর্ণাসহ আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী।

এদিকে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা সতর্ক অবস্থান নেন।

উপস্থিত ছিলেন খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার, খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর জায়েদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কুষ্টিয়া থেকে বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টি খাতুন। পরে পড়াশোনার পাশাপাশি করতেন সাংবাদিকতাও।

কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেয়নি বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন তিনি।

ডিএন পরীক্ষা শেষে আজ দুপুরে তাঁর মরদেহ মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার পরিচয় জটিলতায় নিথর মরদেহটি ১১ দিন পড়ে ছিল হাসপাতালের হিমঘরে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান।

কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ বলেন, কারা আমার মেয়ের মরদেহ নিয়ে ষড়যন্ত্র করল আমি জানি না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে ইনশাআল্লাহ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর