অনেক বছর ধরেই গান করেন আলেয়া বেগম। বাউল ও বিচ্ছেদ গানের শিল্পী হিসেবে তার জনপ্রিয়তা প্রবল। তবে বছরখানেক আগে কোক স্টুডিও বাংলার সিজন দুই এ ‘কথা কইয়ো না’ গান দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন এই শিল্পী। তার গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন সব ধরনের শ্রোতা।

এবার শোনা যাবে আলেয়া বেগমের মেয়ে ইন্নিমা রশ্মির গান। মা দিবসে মাকে নিয়েই গান করেছেন এই তরুণ শিল্পী। গানটির সুরও করেছেন তার মা আলেয়া বেগম। ১২ মে মা দিবসের সন্ধ্যায় ‘মায়ের আঁচল’ শিরোনামের গানটি প্রকাশ করে সংগীতের নতুন প্ল্যাটফরম ‘লিভিং রুম সেশন’।

পাভেল আরিনের সংগীত পরিচালনায় এ গানটির কথা লিখেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।
জানা যায়, শিল্পী পরিবারে জন্ম নেওয়া ইন্নিমা রশ্মি আলেয়া বেগম ও বাউল আবুল সরকারের কন্যা। মামার লেখা গানটি মায়ের মুখে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছেন। গান কাভার করে ইউটিউবে জনপ্রিয়তা অর্জন করলে একসময় মায়ের কাছে এ গানটিও আবদার করে বসেন মেয়ে।

তার কণ্ঠে গানটি শুনে মুগ্ধ হন সংগীত পরিচালক পাভেল আরিন। তার স্টুডিওতে আমন্ত্রণ পান ইন্নিমা। গানটিও স্থান পায় লিভিং রুম সেশানে।
সংগীতজীবনের শুরুতেই এত বড় আয়োজনে গান প্রকাশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত রশ্মি। তিনি বলেন, ‘গানটি শুনে আমার বাবা কেঁদেছেন।

মাও দারুণ খুশি। এত সুন্দর ও সিম্পল মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টে গানটি তৈরি করেছেন পাভেল ভাই, যাতে গানটা আরো শ্রুতিমধুর হয়ে গেছে। আমি সত্যিই খুশি মা দিবসে মাকে এমন একটা উপহার দিতে পেরে। লিভিং রুম সেশনের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।’
ইন্নিমা রশ্মি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স পড়ছেন। গানের পরিবারের মেয়ে হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে বসবাস। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘আগেও টুকটাক গান প্রকাশ পেয়েছে। তবে এত বড় আয়োজনে এই প্রথম। সামনে নিয়মিত গান করার ইচ্ছে আছে।’

বলে রাখা ভালো, বাংলা সংগীতের মহাজনদের গান নিয়ে যাত্রা শুরু করে পাভেল আরিনের ‘লিভিং রুম সেশন’। গানের শুদ্ধতা ও মানের প্রতি যত্নশীল এই সংগীত পরিচালক বলেন, ‘ইন্নিমার কণ্ঠে গানটি যখন শুনি, আমার মনে হয়েছে মাকে নিয়ে লেখা আমাদের গানগুলোর মাঝে এ গানটি একটি বিশেষ জায়গা করে নিতে পারে। মায়ের প্রতি এমন নিবেদন কথা ও সুরে সত্যিই অনবদ্য। ইন্নিমাও প্রতিশ্রুতিশীল একজন শিল্পী। মা দিবসে মায়েদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমাদের এই সামান্য উদ্যোগ।