শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রী ও সন্তানকে বগুড়ার বনানী বাজার এলাকার "শুভেচ্ছা" আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে গলাকেটে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাষান্ড স্বামী।
সেনা সদস্য আজিজুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে আশামনি (২০) এর হোটেলের বাথরুমে পড়ে থাকা বিবস্ত্র লাশ এবং এক বছর বয়সী শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল রাফির মস্তকবিহীন বস্তাবন্দি লাশ খাটের নিচে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
২রা জুন (রোববার) সকাল ১১ টার দিকে বগুড়ার বনানী বাজার এলাকার "শুভেচ্ছা" আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলার ৩০১ নম্বর কক্ষ থেকে আশামনি ও তার৷
এক বছরের শিশু সন্তান আব্দুল আল রাফির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই জোড়া খুনের ঘটনায় সেনা সদস্য আজিজুল হক (২৫) নামের সেনা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সেনা সদস্য আজিজুল হক বগুড়ার ধনুট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউট নগর গ্রামের--- ছেলে এবং তিনি চট্টগ্রাম সেনা নিবাসে কর্মরত।
নিহত আশামনি(২০) বগুড়া শহরের নারুলী পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ আশাদুলের মেয়ে।
শাজহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেনা সদস্য আজিজুল হক হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন। নিহত শিশুর মাথার সন্ধানে পুলিশ তল্লাশী করছে।
নিহত আশামনির ভাই মেহেদি হাসান সনি জানান,সেনা সদস্য আজিজুল হকের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ ছিল। দুই মাসের ছুটি নিয়ে সে কিছু দিন আগে বগুড়ায় আসে।এরপর তার ভগ্নিপতি সেনা সদস্য আজিজুল হক গত বৃহস্পতিবার শশুর বাড়ি নারুলীতে আসে এবং বেড়ানোর কথা বলে আজিজুল হক আমার বোন আশামনি ও ভাগ্নে আব্দুল্লাহ আল রাফিকে নিয়ে শনিবার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন,বিয়ের সময় তার ভগ্নিপতিকে মোটা অংকের টাকা যৌতুক হিসাবে দিয়েছেন।এ ছাড়াও সে নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন।
তার ধারণা দাম্পত্য কলহের কারণেই তার বোন ও ভাগ্নেকে খুন করা হয়েছে।
শুভেচ্ছা হোটেলের ব্যবস্হাপক রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর আজিজুল হক তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে দোতালায় ৩০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন।
এরপর রাত ১১টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান।আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে আজিজুল হক হোটেলের কক্ষ ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন।
এসময় তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়।এরপর আমরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই।
পুলিশ এসে ওই কক্ষের ভেতরে আজিজুল হকের স্ত্রীর গলাকাটা বিবস্ত্র লাশ এবং বাথরুমে বস্তাবন্দি মাথাবিহীন সন্তানের লাশ দেখতে পান।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত সেনা সদস্য আজিজুল হক এ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন, তবে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আজিজুল হকের দাবি সে তার সন্তানের মাথা পাশের করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছে। নিহত শিশু আব্দুল্লাহ আল রাফির মাথা খোঁজা করা হচ্ছে।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/