কুবি প্রতিনিধি : ''এখন থেকে শিক্ষক নিয়োগের পর ঐ শিক্ষক সরাসরি ক্লাসে জয়েন দিতে পারবেন না। তাকে আগে এক সপ্তাহব্যাপী টিচিং লার্নিং প্রশিক্ষণ করতে হবে তারপর ক্লাসে জয়েন করবেন'', বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত 'সিলেক্টেড কোয়ালিটেটিভ রিসার্চ মেথডস' শীর্ষক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণে শিক্ষকতার ন্যূনতম নিয়ম-কানুন শিখানো হবে। এছাড়া একাডেমিক অনেষ্টি সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হবে।
আগামী ৩০ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আজকের কোয়ালিটেটিভ রিসার্চের এই সেশনের সাকসেস কামনা করছি এবং যারা অংশগ্রহণ করেছেন আশা করি সবাই ভালো কিছু শিখতে পারবেন।'
কর্মশালাটির সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এমদাদুল হক।
প্রধান অতিথি এবং কর্মশালার প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা জরুরি। সেটা ব্যক্তিগত সম্পর্কে হোক, যৌথ গবেষণা বা সাহায্যের মাধ্যমেই হোক আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করা দরকার।
অর্থাৎ আমাদের রিজিওনাল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্ক তৈরি করা জরুরি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ওভারঅল র্যাংকিংয়ে টিকে থাকার প্রধান উপায় হচ্ছে পরস্পরকে সাহায্য করা। এটার জন্য আপনাকে আমার দরকার, আমাকে আপনার দরকার। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগটা সবসময় থাকবে।'
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'কোয়ানটিটেটিভ রিসার্চ করতে এআই অনেক এগিয়ে গেছে।
তাই কোয়ালিটেটিভ রিসার্চে হিউমেন ইনভলবমেন্টা বেশি জরুরি। হিউম্যান বিষয়বস্তুগুলো আইডেন্টিফাই করে সেগুলে যথাযথ বিশ্লেষণ করা জরুরি। সেজন্য আমাদের আজকের সেশনটি খুবই দরকারি।'
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'রিসার্চ করার ক্ষেত্রে আমরা কোয়ালিটেটিভ রিসার্চই বেশি করি।
কোয়ালিটিভ রিসার্চের মাধ্যমে মানুষের চিন্তাভাবনা, মনোভাব, সমাজব্যবস্থা এবং সামাজিক বাস্তবতা এই বিষয়গুলো খুব সহজে বের করে আনা যায় কিন্তু কোয়ান্টিটিভ রিসার্চে মানুষ ডাটা কালেকশনে সাপোর্ট কম দেয়। বর্তমান সময়ে মিক্সড মেথডটা খুব জনপ্রিয়।
কিন্তু আমাদের কোয়ালিটেটিভ রিসার্চের ডাটা কালেকশন এবং এনালাইসিস এ গ্যাপ রয়েছে। আজকের সেশন করার পর আমরা আরও উদ্বুদ্ধ হবো।'
কর্মশালায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন আইকিউএসি'র পরিচালক অধ্যাপক ড. খলিফা মো. হেলাল। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/