মাসফিকুল হাসান, বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের ১১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) জারি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী গত ২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনকালে উক্ত ১১ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অনুপস্থিত দেখতে পান।
যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে গণ্য করা হয়। অনুপস্থিতির কারণ জানতে আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শোকজ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—
১. উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোছাঃ উম্মে ফারহানা চৌধুরী
২. উপ-রেজিস্ট্রার এ.টি.এম শহীদুল ইসলাম
৩. সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) সাকিনা আক্তার সীমা
৪. সিনিয়র অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোছাঃ সুফিয়া খাতুন
৫. সিনিয়র অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোছাঃ সুমি বেগম
৬. হিসাব রক্ষক মোঃ নুর হোসেন শাহ
৭. অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মামুনুর রশীদ
৮. সি-ক্যাটাগরি এম.এল.এস.এস স্বপ্না দাস
৯. সি-ক্যাটাগরি এম.এল.এস.এস মোঃ ফারুক আহমেদ
১০. এম.এল.এস.এস এস.এম. শহীদুল ইসলাম
১১. এম.এল.এস.এস মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশীদ বলেন, "উপাচার্য মহোদয় পরিদর্শনকালে তাদের অনুপস্থিত দেখতে পান। তারা দেরিতে অফিসে আসেন। তাই তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা জবাব দেওয়ার সুযোগ পাবেন, এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, "আমি উপাচার্য হয়ে ৯টার আগে অফিসে এসে ১১টা পর্যন্ত থাকতে পারলে কর্মকর্তারা কেন পারবে না? আমি সাড়ে ৯টায় গিয়েও তাদের অফিসে পাইনি। তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরবর্তী সময়ে এই অভিযোগের কী পরিণতি হয়, তা এখন দেখার বিষয়।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/