শান্ত-সৌম্যর বিদায়ের পর তানজীদ প্রতিরোধ গড়েন মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে। টানা চারে পরিস্থিতি নিজেদের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন তানজীদ। কিন্তু মিরাজ বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারলেন না। মোহাম্মদ শামির আউটসুইং করা বল বেরিয়ে যাচ্ছিল। ব্যাট চালিয়ে বসেন মিরাজ। বল ব্যাটে লেগে উড়ে যাচ্ছিল প্রথম স্লিপ দিয়ে। ডানে গিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন শুভমান গিল। ১০ বলে ৫ রান করেন মিরাজ, বাংলাদেশ ২৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায়। ক্রিজে তানজীদের সঙ্গী তাওহীদ।
মোহাম্মদ শামির প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে সৌম্যকে স্ট্রাইক দেন তানজীদ। চার বল ডট দিয়ে শেষ বলে মিড অফে ব্যাট চালিয়ে যেন ভুল করেন সৌম্য। কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে রাহুলের হাতে। শূন্য রানে সৌম্যর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শান্ত। তিনিও হার্শিথ রানার দ্বিতীয় ওভারে সৌম্যকে অনুসরণ করেন। আউট সুইং করা বলে কাভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে কোহলির হাতে ধরা পড়েন শান্ত। কোনো রান না করেই বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিরলে শুরুতেই বিপাকে পড়ে দল। ২ ওভারে ২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে তানজীদের সঙ্গী মিরাজ।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গ্রুপ বি থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় শুরু হবে লড়াই। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। তবে জায়গা হয়নি নাহিদ রানার। এদিকে ইনজুরির কারণে নেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
একাদশে যারা তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত একাদশ
রোহিত শার্মা, শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, আকসার প্যাটেল, রবিন্দ্র জাদেজা, হার্শিত রানা, মোহাম্মদ শামি, কুলদিপ যাদব।
আত্মবিশ্বাসী শান্ত
জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রাখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, “এই সংস্করণে আমাদের দল বেশ ভারসাম্যপূর্ণ এবং আমরা বিশ্বাস করি, এই টুর্নামেন্টে যে কোনো দলকে আমরা হারাতে পারি।”
ভারতের মতো দলের বিপক্ষেও শান্ত কেন এতটা আত্মবিশ্বাসী? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার, “সব দলই ট্রফি জয়ের সামর্থ্য রাখে। তবে আমি এমন একজন, প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি যে ভাবে না। আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারি যথাযথভাবে, যেকোনো দিনে যেকোনো দলকে হারাতে পারি আমরা।”
পরিসংখ্যান ভারতের পক্ষে
দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ৪১ বার। ৩২ বারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রোহিত শর্মার দল। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৮টিতে। ১টি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছে। আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের সবশেষ জয় ২০০৭ সালে। সেবার ভারত গ্রুপপর্ব থেকেই বাদ পড়ে। এরপর ২০১১ ওয়ানডে ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষে ছিল বাংলাদেশ। দুবারই জয় দিয়ে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়।
আশায় কোহলি
দলটির অভিজ্ঞ ব্যাটার বিরাট কোহলিও বাংলাদেশকে পেয়ে যেন হাততালি দিচ্ছেন! স্টার স্পোর্টসকে এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, “বাংলাদেশের বিপক্ষে যতবার জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে ভারত, ততোবারই শিরোপা জিতেছে।’’ ২০১১ এবং ২০২৪ সালের আসরের ম্যাচ দুটোর কথা মনে করিয়ে দিলেন কোহলি। এবারও তেমনই আশা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করাটা সবসময় আমাদের জন্য ভালো কাজ করেছে। এবারও আমরা একই প্রত্যাশা করছি।”
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/