শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জের ধাওয়াগীর গ্রামে অগভীর নলকূপের পাইপলাইন স্থাপনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল উপজেলার শিবগঞ্জ ইউনিয়নের ধাওয়াগীর মৌজায় নিজ স্কিমে আঃ সাত্তার অগভীর নলকূপের পাইপ লাইন স্থাপন করতে গেলে প্রতিপক্ষ কর্তৃক বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ঐ অগভীর নলকূপের স্কিমের জমির মালিক ঠান্ডার সাথে।
সে জানায় আমরা গত ৩বছর যাবৎ সাত্তারের অগভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে চাষাবাদ করি। সাত্তার তার নিজ স্কিমের মধ্যে পানি সেচের জন্য পাইপ লাইনের কাজ শুরু করলে পার্শ্ববর্তী স্কিমের অগভীর নলকূপের মালিক আমিনুল বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
সাত্তারের স্কিমের মধ্যে থাকা জমির মালিক মাফিজার, এমদাদুল, তফুরা ও মিজানুর বলেন, সাত্তারের স্কিমে ৩৫-৪০ বিঘা জমি আছে।
এ স্কিমের মধ্যে থাকা জমির মালিকেরা সাত্তারের নলকূপ থেকে পানি নেই। আমিনুল অহেতুক আমাদের স্কিমের মধ্যে এসে ঝামেলা করছে।
জানতে চাইলে অগভীর নলকূপের মালিক সাত্তার বলেন, শুনেছি আমিনুল আমার নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।গত তিন বছর আগে থেকেই স্কিমের জমি ভাগ করে আমি আমার সিমানার মধ্যে পানি সেচ করে আসিতেছি।আমি কোন সংঘাত চাইনা।
যেহেতু এখন পানি সেচের মৌসুম তাই আমার স্কিমের মধ্যে থাকা সকল জমির মালিকের সহযোগিতায় পানি সেচের জন্য পাইপ লাইনের কাজ করতে গেলে এ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। আমি আমার স্কিমের বাহিরে যাইনি।
পাশ্ববর্তী স্কিমের অগভীর নলকূপের মালিক আমিনুল বলেন, আমি ২০১৬ সালে লাইসেন্স পেয়েছি আর সাত্তার পেয়েছে ২০২১ সালে।
সাত্তার আমার স্কিমের মধ্যে কিছু জমিতে পাইপ বসিয়ে পানি দেওয়ার চেষ্টা করলে আমি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমিও কোন সংঘাত চাইনা।
অভিযোগের বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য শিবগঞ্জ বিটের এসআই আল মামুনকে দিয়েছি।
তদন্ত সাপেক্ষে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/