জাহাঙ্গীর আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন নামের এক যুবককে অপহরণ করেছিল একটি চক্র।
তবে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েও কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে জীবিত পেলনা পরিবার। এঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মিলনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৩ টার দিকে দুই অপহরণকারী গ্রেফতার ও মিলনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার মহেশপুর বিটবাজার এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে সেজান আলী ও আরাজি পাইকপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মুরাদ।
এঘটনায় স্হানিয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে অপহরণ কারিদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছন থেকে অপহরণ হয় মিলন। অপহরণের চারদিন পরই ২৬ ফেব্রুয়ারি মিলনকে হত্যা করেন অপহরণকারীরা।
এরপর মিলনকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিবারের কাছে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ বাগিয়ে নেয় অপহরণকারী চক্রটি। অপহরণকরীরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
সেইসঙ্গে তারা মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, অপহৃত মিলন অপহরণকারী চক্রকে চিনে ফেলায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে এই বিষয়ে কাজ করছিলাম আমরা। কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না।
প্রযুক্তির সহযোগিতায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা মিলনকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন ও তাদের দেখানো স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধারও করা হয়েছে।
জানা যায়, অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ পড়ুয়া মিলনকে অপহরণ করে একটি চক্র। গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টায় ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পিছনে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়েই নিখোঁজ হয় মিলন।
ঘটনার দিন রাত ১ টার সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে মুঠো ফোনে অপহরণের বিষয়টি জানায় অপহরণকারীরা। প্রথমে ১২ ঘন্টার মধ্যেই মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা।
পরদিন দুপুরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় মিলনের পরিবার। তবে পরে চক্রটি ৫ লাখ দাবি করে। পরদিন আরও বেড়ে ১০ লাখ হয়। তিনদিন পরে ১৫ লাখ চায় চক্রটি।
সবশেষে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। রোববার (৯ মার্চ) রাতে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রের কাছে বুঝিয়ে দেয় অপহৃত মিলনের পিতা পানজাব আলী।
২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে।
এদিকে মিলনের পরিবার জমি জায়গা বিক্রি ও ধারদেনা করে ২৫ লাখ টাকা দিয়েও ছেলেকে জীবিত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কান্নার আহাজারীতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/