খুলনায় অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী নুর আলমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে খুলনা মহানগরীর বসুপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে নুর আলমকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে, জানান খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক তৈমুর ইসলাম।

আটক ব্যক্তিরা হলেন— খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারু, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ইমন মোল্লা, দৈনিক প্রবর্তন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক কে এম জিয়াউস সাদাত এবং ইমনের সহযোগী জয় হাসান ও সাকিব রহমান।

অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি তার ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে শুক্রবার রাতে অপহৃত হন।

ডিবি পরিদর্শক তৈমুর ইসলাম জানান, সাংবাদিক জিয়াউস সাদাত নুর আলমের দূর সম্পর্কের আত্মীয় এবং তার খুলনায় আসার বিষয়টি জানতেন। তিনি ইমন ও পিয়ারুকে জানান, নুর আলমকে অপহরণ করলে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ পাওয়া যেতে পারে। এরপর পরিকল্পনা করে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তারা নুর আলমকে তার ছেলের বাসা থেকে অপহরণ করেন এবং এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অভিযান শুরু করে। মুক্তিপণের টাকা নিতে আসার সময় প্রথমে ইমন মোল্লাকে আটক করা হয়, পরে বসুপাড়ার বাসা থেকে নুর আলমকে উদ্ধার করা হয়। সেখানে দুই সহযোগী জয় হাসান ও সাকিব রহমানকেও আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে যুবদল নেতা পিয়ারু এবং সাংবাদিক জিয়াউস সাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় নুর আলমের ছেলে কৌশিক আহমেদ রোববার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আহসান হাবীব জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। খুলনার মুখ্য মহানগর আদালত-২ এর বিচারক মো. আল আমিন একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।