রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ৭ এপ্রিল থেকে আবারও সংলাপ শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্যে গঠিত কমিশন। এরই মধ্যে লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে ২৭টি দল। সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে চলবে এই আলোচনা।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আলাদা ১১টি কমিশন গঠন করে সরকার। এরই মধ্যে সংস্কার প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়। এসব প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য গঠন করা হয় ঐকমত্য কমিশন।

এরই মধ্যে ২৭টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশনে। বাকি ১০টি দল ঈদের পরে মতামত জানাবে। ৪টা দলের সঙ্গে কমিশনের সংলাপ হয়েছে। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে সংলাপ শুরু হবে। এই আলোচনায় একমতের ভিত্তিতে হবে জুলাই চার্টার।

এ ব্যাপারে প্রধান উপেদষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে খুব দ্রুত ডায়ালগের কাজটা গড়াবে। কারণ আমাদের কিন্তু একটা ডেডলাইট আছে। আমরা চাচ্ছিলাম যে জুলাইয়ের মধ্যে এই কাজগুলো গুছিয়ে নেওয়ার জন্য।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারসহ আরও কিছু জরুরি সংস্কার করেই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান তাদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের বিষয় নিয়ে পার্থক্য রয়েছে। সরকারেরও কিছু অগ্রাধিকার আইটেম আছে।

নাগরিকরাও বিভিন্ন জিনিস চাচ্ছে। এই জায়গাগুলো থেকে বাছাই করে নিয়ে আসতে হবে। কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।’

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়ার প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রস্তাবনা এনে আমাদের একটা সমঝোতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’