আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শুনানি শুনছিলেন সাবেক দুই মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন। শুনানির একপর্যায়ে ইনু হেসে মেননকে লক্ষ্য করে বলেন, “দিন আমাদেরও আসবে।” জবাবে মেনন মুচকি হেসে তার দিকে তাকান— মুহূর্তটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের আরেকটি নীরব উপাখ্যান।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে আওয়ামী লীগের মিত্রদল জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ দুই নেতা ইনু ও মেননকে তোলা হয়। গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শুনানিতে তারা কাঠগড়ায় পাশাপাশি দাঁড়ান।
মেনন ছিলেন বেশ মনোযোগী, এক হাতে মুখ আড়াল করে শুনছিলেন চলমান শুনানি। ইনুও ছিলেন কাছেই, মাঝে মাঝে কথা বলছিলেন সহআসামিদের সঙ্গে। শুনানির পুরোটা সময়জুড়ে মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্যদের মুখে ফুটে উঠছিল নানা অভিব্যক্তি—কখনো হাসি, কখনো হতাশা, কখনো দ্ব্যর্থহীন দৃষ্টিবিনিময়।
শুনানি শেষে আদালত নতুন একটি মামলায় ইনু ও মেননকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতের হাজতখানায় ফেরত নেওয়া হয়।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল পর্বে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হওয়া ইনু ও মেনন ইতোমধ্যে একাধিক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে গেছেন। তবে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েও তাদের মধ্যে অদ্ভুত এক স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাসের রেখা স্পষ্ট—যেন রাজনৈতিক লড়াইয়ের নতুন অধ্যায়ের অপেক্ষা করছেন তারা।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/