প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের শিক্ষার্থী ফারিয়া হক টিনাকে রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে ভাটারা থানাধীন নর্দা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত টিনাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফারিয়া হক টিনা ও তার বান্ধবী ফাতেমা তাহসিন ঐশীর উসকানি ও সহযোগিতায় পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় টিনার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং সহ-আসামি মাহাথির হাসানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও তার নাম উঠে এসেছে।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে শুক্রবার দুপুরে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন।
গত ১৯ এপ্রিল প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় মামলা করেন, যেখানে আটজনকে নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
নাম উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে মেহরাজ ইসলাম, আবু জর গিফারী পিয়াস, মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজী, রিফাত, আলী ও ফাহিম রয়েছেন। তাদের মধ্যে মেহরাজ, মাহাথির ও হৃদয় মিয়াজী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এজাহারভুক্তদের বাইরে আরও তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে— মো. আল কামাল শেখ, আলভী হোসেন জুনায়েদ এবং আল আমিন সানি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আসামিদের মধ্যে হৃদয় মিয়াজী এবং সোবহান নিয়াজ তুষার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী শাখার নেতৃস্থানীয় সদস্য।
হত্যাকাণ্ডের দিন বিকেলে পারভেজ তার বন্ধুদের সঙ্গে একটি স্ন্যাকসের দোকানে বসে ছিলেন।
এ সময় পাশেই ছিলেন ফারিয়া হক টিনা ও ফাতেমা তাহসিন ঐশী। পরবর্তীতে হাসাহাসির কারণ জানতে চেয়ে আসা মেহরাজ ও তার দুই সঙ্গীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়, যা শিক্ষকরা থামিয়ে দেন।
তবে কিছু সময় পর, মেহরাজসহ একদল হামলাকারী লাঠি, ছুরি ও চাপাতি নিয়ে হামলা চালায় এবং পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মেহরাজ ইসলাম সরাসরি পারভেজের বুকে ছুরি চালিয়ে হত্যায় মূল ভূমিকা রাখে।
ফারিয়া হক টিনার রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, টিনাকে রিমান্ডে নেওয়ার মাধ্যমে এই হত্যা মামলার পেছনের প্রকৃত কারণ উদঘাটন, অজ্ঞাতনামা অপরাধীদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা সম্ভব হতে পারে।
উল্লেখযোগ্য যে, ২৩ এপ্রিল এক রিমান্ড শুনানিতে বিচারক প্রশ্ন করেন, “মেয়েরা কোথায়? তাদের ধরেননি কেন?” তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মেয়েদের সন্দেহ করার মতো প্রমাণ ছিল না।
তবে আদালত নির্দেশ দেন, “মামলার সঙ্গে মেয়েদের সংশ্লিষ্টতা আছে, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, তাদের খুঁজে বের করুন।”
এই নির্দেশ দেয়ার ১৫ দিন পর টিনাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/