রাজনীতির পালাবদলে নতুন মোড়—রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদলে ঢোকার চেষ্টায় তৎপর  ছাত্রলীগের সক্রিয় সাবেক কর্মীরা । এই অপ্রত্যাশিত রূপান্তর ঘিরে পুরো কলেজজুড়ে বইছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।

অভিযুক্ত শাকিল আহমেদ ২২-২৩ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী শাকিল আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ মিছিল-মিটিং ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা গেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাকে নিয়মিত ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে, এমনকি পেছনের সারি নয়—প্রথম সারিতেই।

শাকিল আহমেদের পূর্বের ফেসবুক আইডিতে ছাত্রলীগ নিয়ে  অনেক ধরনের পোস্ট দেখা গিয়েছে।তিনি আওয়ামী লীগ,শেখ মুজিবর রহমানকে  নিয়েও অনেক ধরনের পোস্ট করেছেন।

৫ আগষ্ট পর নিজের কর্মকাণ্ড ঢাকতে পুরাতন ফেসবুক আইডি( SB shakil ahmed) বন্ধ করে নতুন আইডি খুলেন।

এখন তিনি ছাত্রদলের একনিষ্ঠ কর্মী। ছাত্রদলের সকল মিছিল মিটিংয়ে তাকে দেখা যায়। এখন ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও হেনস্থা করে।

তারই অংশ হিসেবে গতকাল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি সংবাদ সম্মেলন কভার করতে আশা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এক সদস্যের হাত থেকে ফোন কেরে নিয়ে তাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করে সাকিল।

পরে বিষয়টি জানতে পেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে এসে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিমউদদীনকে বিস্তারিত জানালে জসিম সাকিলকে সরি বলতে বলে এবং সমঝতা করে দেয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড যাতে না করে সে বিষয়ে সতর্ক করে দেয়।

নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তার সহপাঠী  থেকে জানা যায় যে, ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সম্পূর্ণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে ছিল এবং আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিতো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি দিতো।

তাই তাকে আমাদের বিভাগের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এটা আমাদের ব্যাচের ১৪৭ জন শিক্ষার্থীর সবাই জানে। আপনারা তাদের সাথে কথা বললে জানতে পারবেন।

অভিযুক্ত শাকিল আহমেদ জানায়,আমার উপর যে অভিযোগগুলো উঠেছে সবই ভিত্তিহীন। আমি কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতি করিনি।

আমার পুরো পরিবার বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যেগুলো ছবি সেগুলো আমার না। আমি এরকম কোন পোস্ট করি নাই।

এবিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিমউদদীন বলেন, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলে ছাত্রলীগের কোনো দোসরদের জায়গায় হবে না।

এমন কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব। সাকিলের বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়েছি সে ছাত্রলীগ করতো না।

ঐ আইডি আর তার আগের আইডির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সেটা আপনারা ভালো করে দেখলেই বুঝতে পারবেন।