আজ রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পা রাখবে সিঙ্গাপুর জাতীয় ফুটবল দল। ২৩ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আসছেন কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তাসহ আরও ১৯ জনের বহর।
২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগামী ১০ জুন বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা।
বাছাইপর্বে গ্রুপে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, ভারত এবং হংকং রয়েছে। প্রথম ম্যাচে উভয় দলই গোলশূন্য ড্র করেছে। ফলে এই ম্যাচটি দুই দলের জন্যই কার্যত ‘জিততেই হবে’ ধরনের লড়াই।
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যখন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখনই ১৯৭৩ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দল। সেই দলের প্রথম আন্তর্জাতিক আসর ছিল মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যবাহী মারদেকা কাপ। সেখানে ১৯৭৩ সালের ৬ আগস্ট মারদেকা স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
মাত্র ষষ্ঠ মিনিটেই গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন কাজী সালাহউদ্দিন। যদিও ২০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের শামসুদ্দিন রহমতের গোলে ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হয়, তবু সেটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় মুহূর্ত।
এরপর ১৩ আগস্ট সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ম্যাচে নওশেরুজ্জামানের গোলে জয় পায় বাংলাদেশ। তবে ১৫ আগস্ট যুব দলের কাছে ২–০ গোলে হারে। ফুটবল ফেডারেশনের মতে, প্রথম ম্যাচটি সিঙ্গাপুরের জাতীয় দলের বিপক্ষে হলেও সেটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছিল কিনা, তা নিশ্চিত নয়।
দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৫ সালের ৩০ মে ঢাকায় আবার দেখা হয় দুই দেশের জাতীয় দলের। ফিফা প্রীতি ম্যাচে চতুর্থ মিনিটেই গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২–১ গোলে জয় পায় সিঙ্গাপুর।
সেই ম্যাচে যারা খেলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এখনো জাতীয় দলে আছেন তিনজন—জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মণ ও সোহেল রানা। বর্তমানে তাঁরাই অভিজ্ঞতার প্রতীক, যাদের ওপর ভরসা রাখছেন কোচ কাবরেরা।
২০০৭ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে বাংলাদেশ ‘বি’ দলের সঙ্গে সিঙ্গাপুর অনূর্ধ্ব–২৩ দলের ম্যাচ হয়েছিল। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধেই দুই গোল খায় বাংলাদেশ, শেষদিকে জুমরাতুল ইসলাম মিঠুর একটি গোল আসে। ২–১ গোলের হারটা সম্মানজনক বলেই বিবেচিত হয়, কারণ তখন জাতীয় দল ছিল ভারতের নেহরু কাপে।
২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে ভারত, হংকং এবং সিঙ্গাপুর। প্রথম ম্যাচে উভয় দলই গোলশূন্য ড্র করেছে, ফলে এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজই ঢাকায় পৌঁছাবে সিঙ্গাপুর দল। তাই এরই মধ্যে দলের ম্যানেজারসহ দুজন ঢাকায় এসে উত্তরা আর্মড পুলিশ মাঠ পরিদর্শন করেছেন। আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় সেখানেই অনুশীলনে নামবে তারা।
বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এই ম্যাচকে ঈদের উপহার হিসেবে জয় দিয়ে স্মরণীয় করতে চান বলে আগেই জানিয়েছেন। তাঁর দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল; আর ঢাকার গ্যালারিতে দর্শক থাকলে তাদের অনুপ্রেরণাও হতে পারে বাড়তি শক্তি।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/