তানিয়া শবনম, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ গার্লস গাইডস্ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে নতুন রেঞ্জারদের দীক্ষা ও বিদায়ী রেঞ্জারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার বেলা ১২ টায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রেঞ্জার-এর দীক্ষা ও বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম, সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন,, রওশন ইসলাম (আন্চলিক কমিশনার) ওবায়দা বানু (জেলা কমিশনার) , শিক্ষক সমিতি সভাপতি -অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজি (রেঞ্জার গাইডার) , শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান রেঞ্জার সদস্যরা।
আলোচনা পর্বে বক্তারা রেঞ্জার-এর অবদান ও ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরেন।
তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, রেঞ্জাররা মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে দীক্ষা গ্রহণকারী নতুন সদস্যদের শপথ করানো হয় এবং তাঁদের হাতে রেঞ্জার প্রতীক তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিদায়ী সদস্যদের শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ওবায়দা বানু। তিনি বলেন, “তোমাদের অভিনন্দন এই নতুন মঞ্চে।
আমি আশা করি, পড়াশোনার পাশাপাশি তোমরা গাইডিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে। গাইডিং-এর শিক্ষা হলো শৃঙ্খলা, মানবিকতা ও চারপাশের পরিবেশ থেকে শেখা।
একজন মানুষ যখন শৃঙ্খলিত হয় তখন জীবনের প্রতিটি ধাপে সে সফল হয়। গাইড আমাদের মানবিক হতে শেখায়।
আমি বিশ্বাস করি তোমরা পরিবার, সমাজ ও দেশকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।”
এ সময় রওশন ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ গার্লস গাইডসের শিক্ষা কর্মসূচি হলো সমাজসেবা। রেঞ্জার মেয়েদের কর্মসূচি যেন শুধু রাজধানী অঞ্চলে সীমাবদ্ধ না থাকে।
তোমরা শুধু বাংলাদেশ গার্লস গাইডসের সদস্য নও, তোমরা বিশ্বব্যাপী সেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে।”
সম্মানিত অতিথি ট্রেজারার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “তোমাদের দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে আজকের দীক্ষা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তোমরা শৃঙ্খলিত বাহিনীর সদস্য হিসেবে ইউনিফর্মসহ বা ছাড়াও তোমাদের গুণাবলি সর্বদা চর্চা করবে। পাশাপাশি তোমরা বন্ধুদরে নৈতিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেবে।
ভর্তি পরীক্ষার সময়ও তোমরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছিলে, যা প্রশংসনীয়।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম স্যার। তিনি বলেন, “আজ বিদায়ী রেঞ্জারদের অভিনন্দন জানাই।
তোমরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সবসময়ই সুনাম অর্জন করেছ, কোনো নেতিবাচক মন্তব্য তোমাদের সম্পর্কে পাওয়া যায়নি। আশা করি নতুনরাও একইভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
আমি আশা করব শুধু ভর্তি কার্যক্রম নয়, তোমরা চারপাশের মানুষের মানসিক উন্নয়নে ও মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসবে।
আজ যারা দীক্ষা নিলে, তারা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং আনন্দের সাথেই কাজগুলো করবে।
পড়াশোনার পাশাপাশি এসব কর্মকাণ্ড আত্মোন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। এগুলো তোমাদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।
আমি বিশ্বাস করি, নতুন রেঞ্জাররা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির সাথে নিজেদের যুক্ত করবে এবং বিদায়ী রেঞ্জাররা বাইরেও নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও তোমাদের সহযোগিতা করা হবে।”
অনুষ্ঠানটি রঙিন আয়োজনে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। নতুন রেঞ্জারদের দীক্ষা গ্রহণ ও বিদায়ী রেঞ্জারদের সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি ঘটে।
অতিথি ও বক্তারা রেঞ্জারদের দায়িত্বশীলতা, শৃঙ্খলা ও মানবিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। শেষে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও দেশসেবার অঙ্গীকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/