যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ হিসেবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক আয়োজনের কাজ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, পুতিনকে বৈঠকে আলোচনার বিষয়গুলি তিনি অবহিত করেছেন।

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জানান, হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় এবং জেলেনস্কির সঙ্গে খুব ভালো বৈঠক শেষে তিনি পুতিনের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন। এর আগে গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প।

নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আলোচনার শেষে আমি পুতিনকে ফোন করেছি এবং পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের কাজ শুরু করেছি।’

কবে ও কোথায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি। তিনি আরও জানান, ‘ওই বৈঠকের পর আমাদের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে। সেখানে দুই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি থাকব। এটি প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ট্রাম্প বলেছেন, আজকের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এ নিশ্চয়তা প্রদান করবে, যার সমন্বয় করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনায় সবাই খুব খুশি।’

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ হিসেবে গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিনের মাথায় সোমবার হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ও ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে।

বৈঠকের মাঝপথে ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করেন। পুতিনের একজন সহকারীর তথ্য অনুযায়ী, ফোনে তাদের মধ্যে ৪০ মিনিট আলোচনা হয়েছে।