সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংসদ ভবন এলাকার সরকারী বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনারা জানেন সুপার সাইক্লোন আম্পান ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অতিক্রম করে স্থল নিন্ম চাপে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে আঘাত হেনেছে কয়েকটি জেলায়। ক্ষয়ক্ষতি ব্যপক না হলেও কম হয় নি। সাতক্ষীরা,বাগেরহাট, পটুয়াখালী, যশোর, হাতিয়াসহ বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছাস, ঘর-বাড়ি ধ্বংস, বেড়িবাধ ক্ষতিসহ সম্পদহানি ঘটেছে, ঘটেছে প্রাণহানী। যারা এই দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোক সন্তত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া জানাচ্ছি। আশঙ্কা ও পূর্বাভাস অনুযায়ী কম ক্ষয়ক্ষতিতে।

“ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে, সরকার দুর্যোগ পূরর্বর্তী, দুর্যোগ কালীণ এবং দুর্যোগ পরবর্তী পূনর্বাসন প্রস্তুতি যথাযত ভাবে সম্পন্ন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ঝড়ের আগে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা, বেড়িবাধ মেরামতসহ সার্বিক পুনর্বাসনের ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।”

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের রেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষ করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতিও মোকাবিলা করছে। তাদের দুটো চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে পাশে দাঁড়াতে আমি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।

“আল্লার অশেষ রহমতে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনীতে মানুষের দোয়া এবং শেখ হাসিনা সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি আমাদেরকে ঘূর্ণিঝড় হতে অল্প ক্ষয় ক্ষতির মধ্য দিয়ে উত্তরণ ঘটিয়েছে। এর পাশাপাশি সুন্দরবান সুরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করেছে।”

দুর্যোগ পরবর্তী পূনর্বাসন পানিবন্দি মানুষের সুরক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ মেরামতে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে রয়েছ। মনে রাখবেন আপনারা একা নন, শেখ হাসিনার মতো দরদী ও দক্ষ নেতৃত্ব আপনাদের সাথে আছে সার্বক্ষনিক ভাবে।”

সামাজিক দুরত্ না মেনে অনেকেই জেনে শুনে করোনাভাইরাসের সংক্রমন ও মৃত্যুকে ডেকে আনছেন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, “কিছু দিন ধরে আমাদের অসাবধানতা-অসচেতনতার জন্য করোনার সংক্রমন ও মুত্যুর হার বেড়ে চলছে। যারা সামাজিক দুরত্ব মেনে চলছেন না, অহেতুক যেখানে সেখানে সমাগম করছেন তারা জেনে শুনেই সংক্রমন ও মৃত্যুকে ডেকে আনছেন।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা