গত দু’দিনের তুলনায় কিছুটা সংক্রমণ কমেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। তারপরও আক্রান্ত ১১ লাখের কোটায়। আর একদিন আগে অর্ধলাখে পৌঁছানো প্রাণহানি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে ৫১ হাজারের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। যদিও বেঁচেও ফিরেছেন আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি।

ব্রাজিলে করোনার ভয়াবহতার পেছনে শুরু থেকেই সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আসছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে।

বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৮৬১  জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৬১১  জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬৬৯ জনে ঠেকেছে।

আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু, চিলি ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত লাখ ছাড়িয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা পেরুতে। দেশটিতে প্রাণহানি ততটা বেশি না হলেও সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্ত ২ লাখ প্রায় ৫৫ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৪৫ জনের।

এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতে আক্রান্ত ২ লাখ ৪২ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণ গেছে সেখানে ৪ হাজার ৪৭৯ জনের।

আর ব্রাজিলের পথেই হাটা মেক্সিকোয় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২২ হাজার মানুষ। আক্রান্ত ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি।

এছাড়া, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, রোমানিয়া ও পানামার মতো দেশগুলোতে ক্রমে বেড়েই চলেছে করোনার দাপট।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা