তিন বাহিনীকে অস্ত্র কেনার অনুমতি দিল ভারত

আপডেট: June 22, 2020 |

লাদাখে চীনা ও ভারতীয় সেনাদের সংঘাতে সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক আলোচনা চলমান থাকলেও যুদ্ধের আশঙ্কা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির তিন বাহিনীকে ৫০০ কোটি রুপি পর্যন্ত অস্ত্র কেনার অনুমতি দিয়েছে।

ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতিতে ৫০০ কোটি রুপি পর্যন্ত প্রত্যেক প্রকল্পে অস্ত্র কেনার জন্য সেনার তিন বাহিনীর প্রধানদের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ফলে এখন থেকে প্রয়োজনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা একাধিক সংসদীয় কমিটির অনুমোদন বা টেন্ডার প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে যুদ্ধাস্ত্র কিনতে পারবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি ও পরিস্থিতি মোতাবেক অস্ত্র আমদানি সম্ভব হবে।এর আগে ২০১৬ সালে জম্মু ও কাশ্মিরের উরিতে ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনীকে স্বাধীনভাবে অস্ত্র কেনার অনুমতি দিয়েছিল মোদি সরকার।

একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয় বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর। এবার লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের মোকাবিলায় আবারও সেই পথে হাঁটল ভারত।প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তিন বাহিনীর প্রধানকেই চীন সীমান্তে আরও ‘কড়া নজরদারি’ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর রুলস অব এনগেজমেন্ট অর্থাৎ, যুদ্ধনীতির ক্ষেত্রে বড় বদল এনেছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন থাকা কমান্ডারদের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

অর্থাৎ চীন সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় বন্দুক ব্যবহারে আর কোনো বিধিনিষেধ অবশিষ্ট নেই।এক মাসেরও বেশি সময় উত্তেজনার পর গালওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২০ সেনাসদস্য নিহত হয়। উভয় পক্ষেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে ভারত।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর