থাকা-খাওয়া ২০ কোটি, খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিতদের থাকা-খাওয়ায় ২০ কোটি টাকার বিলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য সচিব মো. আ. মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা বিষয়ক সকল খোঁজখবর নেন।
পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সচিব বলেন, ‘আপনারা এটাকে বলতে পারেন না যে অনিয়ম। এটা বড় কিছু না। বিষয়টি আমরা দেখছি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটা নির্দেশনা দিয়েছে। এই পেমেন্টটা দেওয়ার আগে অভিযোগটি খতিয়ে দেখবে। আমরা একটা প্রতিবেদন চেয়েছি হাসপাতালটির পরিচালকের কাছে। ওভারওল তিনি একটা প্রতিবেদন তিনি দেবেন। এখানে কোনও অনিয়ম হয়েছে কি-না আমরা তা দেখছি।’
এসময় স্বাস্থ্য সচিব জানান, ঢামেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য কতজন চিকিৎসক, নার্স, প্যাথোলজিস্ট, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, আনসার সদস্য আছেন তা তিনি দেখতে এসেছেন। এছাড়া রোগীরাসহ চিকিৎসায় নিয়োজিতরা কেমন আছেন তাও দেখে গেলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘এখানে মেডিকেল অফিসার থেকে শুরু করে অধ্যাপক পর্যন্ত প্রত্যেকের পরিসংখ্যান আমি নিয়েছি। কোভিড রোগী ভর্তি হওয়ার পর তাদের অবস্থা কি হয় এটা জানা খুব দরকার।’
উল্লেখ্য, ঢামেক হাসপাতালে গত দুই মাসে হোটেল ভাড়া, খাবার-দাবার ও যাতায়াত বাবদ ২০ কোটি টাকার বিলের চাহিদাপত্র পাঠানো হলে এত বিপুল অঙ্কের টাকা সঠিকভাবে খরচ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল ১ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য এ টাকা খরচ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
বৈশাখী নিউজ/ ফারজানা