বিশ্বে দ্বিতীয় দিনের মতো একদিনে দুই লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে টানা তৃতীয় দিন সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হলো। যাতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর না ফেরার দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ২৮ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। যদিও প্রায় ৬৩ লাখ রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।

এর মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও উৎপত্তিস্থল চীনে নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি। তবে দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এখনও প্রতিদিনই কমবেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ২ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন মানুষ। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার ৫৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৫ হাজার ১৬৭ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৪০৪ জনে ঠেকেছে।

এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। না ফেরার দেশে ১ লাখ ৩২ হাজার ১০১ জন।

ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি ৬৩ হাজার ২৫৪ জনে ঠেকেছে।

আক্রান্তের তালিকায় তিনে থাকা রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ লাখ ৬৮ হাজার ছুঁই ছুঁই। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে সংক্রমণ সাড়ে ছয় লাখের কাছাকাছি। প্রাণহানি ঘটেছে ১৮ হাজার ৬৬৯ জনের।

নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬২৫ জন মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন নতুন করে ১৩ জন। এ নিয়ে ইউরোপের দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ৩৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

সংক্রমণ ২ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ১০ হাজার ২২৬ জনের।

চিলিতে সংক্রমণ ২ লাখ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ গেছে ৬ হাজার ৫১ জনের।

যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১৩১ জনে ঠেকেছে।

লাতিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকোয় আক্রান্ত ২ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি। প্রাণ গেছে সাড়ে ২৯ হাজার ৮৪৩ জনের।

ইউরোপে প্রথম আঘাত হানা ইতালিতে ২ লাখ ৪১ হাজার ১৮১ জন মানুষ করোনার শিকার। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ৩৪ হাজার ৮৩৩ জন।

ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণহানি ঘটেছে ১১ হাজার ২৬০ জনের।

দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ভুক্তভোগী পাকিস্তানে করোনার শিকার ২ লাখ ২২ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৫১ জনের।

তুরস্কে করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ ৩ হাজার ৪৫৬ জন। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৫ হাজার ১৮৬ জনের।

সংক্রমিতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে সবচেয়ে মুসলিম প্রধান দেশ সৌদি আরবে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ৮০১ জন। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮০২ জন।

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৯৬৮ জনের। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৬৮ হাজার ৪৮ জন।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা