ভারতে একদিনে আবারও সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে। এতে করে দেশটির চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত অন্তত দশটি রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করা ভাইরাসটির শিকার পৌনে ৭ লাখ মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ১৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে, ৪ লাখের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৮৫০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।

একইসময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৬১৩ জনের। যা একদিনে মৃতের নিরিখে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ২৬৮ জনের মৃত্যু হলো করোনায়।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৬ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ১২ হাজার ২৩৬ জনের করোনা পরীক্ষা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

ভারতে প্রাণহানির শীর্ষে বরাবরই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে এ রাজ্যে সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সেখানে করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ ৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর প্রাণহানি ঘটেছে ৮ হাজার ৬৭১ জনের।

শনিবার এক লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে তামিলনাড়ু। গত একদিনে প্রায় আড়াই হাজার সংক্রমণে আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ ৭ হাজার একজনে পৌঁছেছে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ জনের।

আর রাজধানী দিল্লিতেও সংক্রমণ লাখের দিকে এগোচ্ছে। যেখানে এ পর্যন্ত করোনার শিকার ৯৭ হাজার ২শ জনে দাঁড়িয়েছে। কেজরিওয়ালের রাজ্যে প্রাণহানি ৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

এছাড়া প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ছে ৯টি প্রদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা গুজরাট, বিহার, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা ও হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলোতে।

এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গে করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ২৩১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৩৬ জনের।

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ৮৩ জন ভুক্তভোগী।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা