বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ তাণ্ডব চালানো করোনার দাপট অব্যাহত রয়েছে। পূর্বের তুলনায় কিছুটা কম হলেও প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির ঘটনা। গত ২৪ ঘণ্টায়ও বিশ্বের দুই লাখের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ হাজার মানুষের।

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত একদিনে বিশ্বের ২ লাখ ৫ হাজার ৩৪৮ জনের দেহে মিলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ ঝরেছে আরও ৪ হাজার ৪৬ জনের। এতে মৃতের সংখ্যা ৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪২ জনে ঠেকেছে।

তবে, আশার কথা হলো, গত ২৪ ঘণ্টায়ও ১ লাখ ৭১ হজারের বেশি ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছে। এতে করে মোট বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৮৯ লাখ ছাড়িয়েছে। ।

এর মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও উৎপত্তিস্থল চীনে নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি। তবে দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এখনও প্রতিদিনই কমবেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

করোনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে সবার উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৬১ হাজার ৪২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। না ফেরার দেশে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৪ জন মানুষ।

ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২১ লাখ ২১ হাজার ৬৪৫ জনে পৌঁছেছে। প্রাণহানি ৮০ হাজার ২৫১ জনে ঠেকেছে।

সংক্রমণে তিনে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে গত একদিনেই প্রায় ৩৭ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৫৫ হাজার ছুঁয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে ২৮ হাজার ৯৯ জনের।

রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৭ লাখ ৭৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৪২৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা পৌনে চার লাখ হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ১৭৩ জনের।

লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুতেও আক্রান্ত ৩ লাখ সাড়ে ৫৭ হাজারের বেশি। যেখানে মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৮৪ জন।

উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৩ লাখ ৪৯ হাজার পেরিয়েছে। প্রাণ গেছে ৩৯ হাজার ৪৮৫ জন মানুষের।

চিলিতে সংক্রমণ ৩ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৬৩৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ৩ লাখ ১২ হাজার। প্রাণ গেছে সেখানে ২৮ হাজার ৪২২ জনের।

যুক্তরাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ হাজার ৩১২ জনের।

মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইরানে করোনার শিকার ২ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণহানি ঘটেছে ১৪ হাজার ৪০৫ জনের।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে করোনার শিকার ২ লাখ ৬৫ হাজারের অধিক। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৯ জনের।

ইতালিতে ২ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি করোনার ভুক্তভোগী। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ৩৫ হাজার ৫৮ জন।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫৩ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৫২৩ জন।

তুরস্কে করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ সাড়ে ২০ হাজার মানুষ। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৫ হাজার ৫০৮ জনের।

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২ হাজার ৬৬৮ জনের। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৬ জন ভুক্তভোগী।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা