একদিন আগে রেকর্ড সংক্রমণের পর গত ২৪ ঘণ্টায় আড়াই লাখের বেশি মানুষ নতুন করে করোনার শিকার হয়েছেন। যার অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। এতে করে করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৬২ লাখ ছুঁই ছুঁই। প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ছয় লাখ হতে চলেছে।

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত একদিনে বিশ্বের ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার ১৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ ঝরেছে আরও ৫ হাজার ৭১৭ জনের। এতে মৃতের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬০২ জনে ঠেকেছে।

তবে, আশার কথা হলো, গত ২৪ ঘণ্টায়ও প্রায় ১ লাখ ৯১ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। যদিও আক্রান্তের তুলনায় তা অর্ধেক। এতে করে মোট বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৯৯ লাখ ৮ হাজার ১শ জনে দাঁড়িয়েছে।

এর মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও উৎপত্তিস্থল চীনে নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি। তবে দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও মুক্ত হচ্ছে না পুরোপুরি। এখনও প্রতিদিনই কমবেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

করোনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে সবার উপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লাখ ১৬ হাজারে কাছাকাছি। না ফেরার দেশে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৮ জন মানুষ।

ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি ৮৬ হাজার ৪৯৬ জনে ঠেকেছে।

সংক্রমণে তিনে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে গত একদিনেই ৪৮ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণহানি ঘটেছে ৩২ হাজার ৯৬ জনের।

রাশিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৮ লাখ ৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ১৯২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা সোয়া চার লাখ পেরিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ২শ’ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৬৫৫ জনের।

লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরুতেও আক্রান্ত ৩ লাখ সাড়ে সাড়ে ৮০ হাজার ছুঁই ছুঁই। যেখানে মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০ জন।

উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৩ লাখ ৭৮ হাজার পেরিয়েছে। প্রাণ গেছে ৪২ হাজার ৬৪৫ জন মানুষের।

চিলিতে সংক্রমণ ৩ লাখ ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ২০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত বেড়ে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৫০১ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে সেখানে ২৮ হাজার ৪৩২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানি ঘটেনি বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লাখ ৯৯ হাজার ছুঁই ছুঁই। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ হাজার ৭৩৮ জনের।

মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক দেশ ইরানে করোনার শিকার ২ লাখ প্রায় ৮৯ হাজার মানুষ। প্রাণহানি ঘটেছে ১৫ হাজার ৪৮৪ জনের।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে করোনার শিকার ২ লাখ ৭৩ হাজারের অধিক। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮২২ জনের।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৭০৩ জন।

ইতালিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার করোনার ভুক্তভোগী। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ৩৫ হাজার ১০২ জন।

কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোগী। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৬৯ জনের।

তুরস্কে করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ সাড়ে ২৫ হাজার মানুষ। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৫ হাজার ৫৯৬ জনের।

আর বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ২ হাজার ৮৭৪ জনের। আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯০ জন ভুক্তভোগী।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা