ইউরোপসহ কয়েকটি দেশে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এখনও গড়ে হাজারের বেশি প্রাণহানি ও অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ভাইরাসটির শিকার হচ্ছেন সেখানে। গত একদিনেও যার ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে কমেছে সুস্থতার সংখ্যা। ফলে, নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে কার্যকরি ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় দিন গুণছে দেশটির সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬০৬ জনে ঠেকেছে। একই সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৫৩ হাজার ৫২৩ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

তবে সুস্থতার হার কমলেও এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের অর্ধেক রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছেন। যার সংখ্যা ২৯ লাখের বেশি।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’

এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এখন ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৬ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ২২৫ জনের।

ফ্লোরিডায় সংক্রমণ এক লাফে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৯ হাজার ৩৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে দীর্ঘ হয়েই চলেছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৯ হাজার ৮৯৬ জনের।

প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ ৫৫ হাজার। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজারের অধিক। মৃত্যু হয়েছে সেখানে ৪ হাজার ৬৬৯ জন মানুষের।

আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে ইলিনয়েসে। যেখানে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২ লাখ ৬ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ৯৩৭ জন।

নিউ জার্সিতে করোনার শিকার প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৫ হাজার ৯৮৮ জনের। বর্তমানে সেখানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি।

এছাড়া, অ্যারিজোনা, ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা