‘ইয়েমেনে পরাজিত সৌদি বাদশাহ সালমান প্রলাপ বকছেন’

আপডেট: September 25, 2020 |

সৌদি আরবের সালমান সম্প্রতি জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ইরানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন তাকে রিয়াদের যুদ্ধাপরাধসহ অন্যান্য অপরাধযজ্ঞ ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছে তেহরান। ইরান বলেছে, ইয়েমেনে একের পর এক রাজনৈতিক ও সামরিক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়ে সৌদি রাজা এখন প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন।

রাজা সালমান বুধবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম বার্ষিক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। ৮৪ বছর বয়সি সৌদি বাদশাহ ইরানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন’ থেকে শুরু করে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার অভিযোগ তোলেন।

রাজা সালমান ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন প্রতিহতকারী হুথি আনসারুল্লাহ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থনের জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেন এবং ২০১৯ সালে সৌদি তেল স্থাপনায় ইয়েমেনি যোদ্ধাদের হামলার জন্যও ইরানকে দায়ী করেন।

সৌদি রাজার এসব অভিযোগ কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, সৌদি আগ্রাসী বাহিনী ইয়েমেনের নিরস্ত্র জনগণের ওপর বিগত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সে সম্পর্কে রাজা কোনও মন্তব্য করেননি। খাতিবজাদে বলেন, আলে সৌদ শাসক আসলে ইয়েমেনের নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে তার নিজ দেশের যুদ্ধাপরাধ ধামাচাপা দিতেই ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন।

ইরানের এই মুখপাত্র বলেন, সৌদি আরব হচ্ছে তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর আদর্শিক চিন্তাধারার উৎস এবং এই সৌদি সরকারই এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

তিনি বলেন, আমেরিকাকে ইরানবিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগে সহযোগিতা করা, ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদীদেরকে হাজার হাজার কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার পরও আলে সৌদ সরকার নিজের জন্য এতটুকু সম্মান অর্জন করতে পারেনি বরং আরব দেশগুলোর কাছে ধিকৃত ও নিন্দিত হয়েছে। তিনি দোষারোপের খেলা পরিত্যাগ করে বাস্তবতা উপলব্ধি করার জন্য সৌদি রাজতান্ত্রিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সূত্র: প্রেস টিভি

বৈশাখী নিউজবিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর