কালিগঞ্জে গোলখালী শ্মশান এলাকায় বাজারের ব্যাগে করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে নয়টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে ।এর মধ্যে ‘ছয় মাসের মধ্যে শিশুটির নামে ৩০ লাখ টাকার এফডিআর করে দিতে হবে। সেইসঙ্গে তাঁর নামে শহরে হলে ১০ কাঠা আর গ্রামে হলে ৫০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হবে’ এ রকম নয়টি শর্তে কুড়িয়ে পাওয়া এক নবজাতককে দত্তক দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

শিশুটিকে কালিগঞ্জে গোলখালী শ্মশান এলাকায় বাজারের ব্যাগে করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
‘ছয় মাসের মধ্যে শিশুটির নামে ৩০ লাখ টাকার এফডিআর করে দিতে হবে। সেইসঙ্গে তাঁর নামে শহরে হলে ১০ কাঠা আর গ্রামে হলে ৫০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হবে’ এ রকম নয়টি শর্তে কুড়িয়ে পাওয়া এক নবজাতককে দত্তক দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

শিশুটিকে কালিগঞ্জে গোলখালী শ্মশান এলাকায় বাজারের ব্যাগে করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, ছয় মাসের মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শিশুটির নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দত্তক প্রত্যাশী অনেকে জানিয়েছে, এত টাকা এত কম সময়ের মধ্যে জোগাড় করে তা ফিক্সড ডিপোজিট করার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। অথচ এমন শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অন্য শর্তের মধ্যে রয়েছে শিশুটিকে অনার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করানো, যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেয়া, সব অধিকার নিশ্চিত করা, গ্রহীতা দ্বিতীয় কোনো শিশু দত্তক নিতে পারবেন না, বিবাহ বিচ্ছেদ হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই শিশুটির দায়িত্ব নিতে হবে, গ্রহীতার বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং শিশু কল্যাণ বোর্ড যে কোনো শর্ত আরোপ করতে পারবে।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, শিশুটিকে দত্তক নিতে ২৯টি আবেদন পড়েছে। শিশুটিকে পেতে উপজেলা চত্বরে তিন দিন ধরে ভিড় করছে দত্তক প্রত্যাশীরা। ৯টি শর্ত মেনে নেবেন এমন ৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের নাম সাতক্ষীরা আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত দত্তক দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর কালিগঞ্জ উপজেলার গোলখালী এলাকার একটি শ্মশানের ধারে গাছে ঝুলানো ছিল সদ্যজাত শিশুটি। পথচারীরা তাঁকে নামিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কুড়িয়ে পাওয়া ছেলে শিশুটি এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা