বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মহামারিত্তোর বিশ্বে ঝুঁকি প্রশমন, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ হবে প্রসারণ’। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচেনায় এ বছর দিবসটি অনাড়ম্বরভাবে পালন করা হবে।

এদিকে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২১ উপলক্ষে আমি দেশের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’

অপর এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৪তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি এবং তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীদের শুভেচ্ছা জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের প্রতিপাদ্য ‘মহামারিত্তোর বিশ্বে ঝুঁকি প্রশমন, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ হবে প্রসারণ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হযেছে বলে আমি মনে করি।’

অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দফতর-সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নীল বাতি জ্বালানো হবে। এছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে রোড ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। বিশেষ স্মরণিকা ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে।

অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, একসময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। সায়মা ওয়াজেদ এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

বৈশাখী নিউজজেপা