ব্রিটিশদের জন্য প্রান দিয়ে ও অবহেলার পাত্র সাড়ে তিন লাখ কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় সেনা
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য রক্ষায় নিহত শ্বেতাঙ্গ সেনাদের যেভাবে স্মরণ করা হয় সেভাবে স্মরণ করা হয় না সাড়ে তিন লাখ কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় সেনাকে। এর জন্য বিস্তৃত বর্ণবাদ দায়ী বলে জানানো হয়েছে একটি প্রতিবেদনে।
কমনওয়েলথ ওয়্যার গ্রেভস কমিশন বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ৪৫ হাজার থেকে ৫৪ হাজার এশীয়, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা বংশোদ্ভূত সেনা নিহত হয়। তাদেরকে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় অসমভাবে স্মরণ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আরও হতাহত এক লাখ ১৬ হাজার সেনাকে [মূলত পূর্ব আফ্রিকার ও মিশরীয়],তবে মোট সম্ভাব্য হিসাবে প্রায় তিন লাখ ৫০ হাজার সেনাকে নামের মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনোভাবেই স্মরণ করা হয়নি।’
তদন্তে দেখা গেছে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ইংল্যান্ডের সেনাদের যেভাবে দাফন বা শেষকৃত্য করা হয়েছে, সেভাবে আফ্রিকার সেনাদের দাফন করা হয়নি। বরং ওই সময় ব্রিটিশ সরকার বলেছিল, ‘গোল্ড কোস্টের বাসিন্দারা কবরের শীর্ষদেশে স্থাপিত প্রস্তরখণ্ডের মর্ম বুঝবে না কিংবা তারা এর প্রশংসা করবে না।’
শুধু তাই নয়, তাঞ্জানিয়ায় আফ্রিকার সেনাদের কবরস্থান অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছিল। অথচ ইউরোপীয় সেনাদের কবর সুন্দরভাবে ও যত্নের সঙ্গে রক্ষা করা হয়েছিল।
কমনওয়েলথ ওয়্যার গ্রেভস কমিশনের পূর্বসূরী ইমপেরিয়াল গ্রেভস কমিশনের এক সাবেক কর্মকর্তা মন্তব্য করেছিলেন, ‘মারা যাওয়া অধিকাংশ নেটিভ ছিল আধা-বর্বর প্রকৃতির। তাদের কবরের শীর্ষদেশে প্রস্তরখণ্ড স্থাপনের মানে হচ্ছে সরকারি অর্থের অপচয়।’