করোনা উপেক্ষা করে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদ কেনা-কাটা

আপডেট: May 12, 2021 |

মহামারি করোনা ভাইরাস আর বৈশাখের তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর সাপাহারে শপিংমল, মার্কেট, ফুটপাতসহ সবখানে জমে উঠেছে কেনাকাটা।

ঈদের আর মাত্র ১ দিন বাকি থাকায় ভিড় বাড়ছে বিভিন্ন বিপণি-বিতানে। কেনাকাটায় ব্যস্ত উপজেলাবাসী। কেনাকাটা করতে পরিবার নিয়েই এসেছেন অনেকে।

ক্রেতা আকর্ষণে নতুন ডিজাইনের নানা পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারাও। মেয়েদের থ্রি-পিস কেনার পাশাপাশি অনেকেই কিনছেন পছন্দের গহনা এবং প্রসাধনীও।

ছোটদের কেনাকাটায়ও পিছিয়ে নেই অভিভাবকরা। ঈদের কেনাকাটায় পোশাক, গহনার সঙ্গে স্মার্টফোন কেনারও চাহিদা বাড়ায় ভিড় বেড়েছে প্রতিটি দোকানে।

বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে রোজার শুরুতে মার্কেট বন্ধ ছিলো। মার্কেট খোলার অনুমতি পাওয়ার পর প্রথম দিকে বিক্রি কম ছিলো। কিন্তু কয়েকদিন থেকে কেনা-বেচা শুরু হয়েছে পুরোদমে।

আজ বুধবার (১২ মে) সকাল থেকেই বিভিন্ন বিপণি বিতানে ক্রেতা সমাগম চোখে পড়ার মতো। পরিবার পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অনেকেই এসেছেন পছন্দের পণ্যটি কিনতে।

উপজেলা সদরের লাবনী সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, চৌধুরী মার্কেট সহ সব মার্কেটে এবং ফুটপাতের দোকানে ঈদের কেনাকাটা করতে অনেক ক্রেতাই ভিড় করছেন। মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা বাড়লেও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। গাদাগাদি করেও জিনিসপত্র কিনতে দেখা গেছে।

লাবনী সুপার মার্কেটে অবস্থিত মাসুম গার্মেন্টেস-এর মালিক মুজিবুর রহমান, সুলতা গার্মেন্টস-এর মালিক বিদ্যুত সাহা, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন এ অবস্থিত জান্নাত লেডিস কর্ণার-এর মালিক নূরে জান্নাত ময়না ও নিউ মার্কেটে অবস্থিত আশা গার্মেন্টস-এর মালিক আব্দুস সালাম বলেন, লকডাউন থাকার কারণে দোকানিদের বিক্রি কম ছিলো। কিন্তু সে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠছেন তারা।

নাজমা কসমেটিকস এর মালিক রেজাউল ইসলাম বলেন, ঈদের আর মাত্র ১ দিন বাকি। শেষ সময়ে তাই বিক্রি ভালোই হচ্ছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর