আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, সব উন্নত দেশ ও পার্শ্ববর্তী ভারতের তুলনায় আমাদের বাজেটে ঘাটতি অনেক কম। বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯৫ শতাংশ। কোন কোন বছরে এটা ৯৮ শতাংশ।

বিএনপিসহ কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের বাজেট প্রতিক্রিয়া কাকাতুয়ার শেখানো বুলির মতো বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ দাবি করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিগত কয়েক বছরের সংবাদপত্র যাচাই করলে দেখা যাবে, প্রতি বছর বাজেটের পর তারা একই মন্তব্য করে আসছেন। এ সময় বিভিন্ন দেশের বাজেটের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্রে দেশের বাজেটকে তুলে ধরেন তিনি।

সিপিডি ও কেউ কেউ বাজেটে ঘাটতির কথা তুলে একে দুর্বল বলেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপির তুলনায় বাজেট ঘাটতি ছিল ১৫.২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১৪.৩ শতাংশ, জাপানে ১২.৬২ শতাংশ ও ভারতে ৯.৩ শতাংশ। আর সেখানে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি মাত্র ৬.২ শতাংশ।

মন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ যে এগিয়েছে তার প্রমাণ দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে শ্রীলংকাকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে বাংলাদেশ এখন ঋণদাতা দেশে পরিণত হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া বাজেট ছিল ৮৮ হাজার কোটি টাকা আর এবারের প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট সেই তুলনায় ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা গত সাড়ে ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির নজির।

বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই- বিএনপি মহাসচিবের এ মন্তব্য খণ্ডন করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসৃজনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে রাখা হয়েছে, যা ভারতে ৩.১ শতাংশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গড় বরাদ্দ মাত্র ৩.৪৮ শতাংশ।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা