তামিমের সেঞ্চুরিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
দলকে নেতৃত্ব না দিলে হয়তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি খেলতেন না তামিম ইকবাল। যেমনটি ছিলেন না একমাত্র টেস্টে ও থাকবেন না আসন্ন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
হাঁটুর ইনজুরির কারণে প্রায় ৮ সপ্তাহের বিশ্রাম নিতে হবে তামিমকে। এজন্য ঘরের মাঠে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজ্যলান্ডের বিপক্ষে সিরিজও খেলা হবে না তার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শঙ্কা থাকলেও ‘ম্যানেজ’ করে খেলছেন টাইগারদের ওয়ানডে ফরম্যাটের দলপতি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে রান পাননি (০ আর ২০)। তবে শেষ সুযোগটা আর হাতছাড়া করলেন না তামিম ইকবাল। দারুণ খেলে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি এবং সেটাও তার স্টাইলে খেলে ৮৭ বলে।
গত বছরের মার্চে টানা দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ঘরের মাঠে ওই জোড়া সেঞ্চুরির পর ১১ ইনিংসে চারটা ফিফটি করলেও তিন অংক ছুঁতে পারেননি তামিম ইকবাল।
অবশেষে সেই কাঙ্খিত সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, এবার তাদেরই মাটিতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিমের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৩ রান। তামিম ৮৯ বলে ৮ চার আর ৩ ছক্কায় অপরাজিত ১০৫ রানে। মিঠুন ব্যাট করছেন ৩ রান নিয়ে।
২৯৯ রানের বড় লক্ষ্য। শুরুটা যেমন ভালো হওয়া চাই, তেমনই দিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। প্রথমে দেখেশুনে খেললেও (৬ ওভারে ২৬ রান) পরে আস্তে আস্তে রানের গতি বাড়িয়েছেন এই যুগল।
ওভারপ্রতি ছয়ের ওপর নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। এরই মধ্যে তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৫২তম হাফসেঞ্চুরি, ৪৬ বলে। কিন্তু তামিমের ফিফটি ছোঁয়া ওভারেই উইকেট হারিয়েছেন লিটন।
ওয়েসলে মাদভেরে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন লিটনকে, তাতে ভেঙেছে ৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন এই ওপেনার। ৩৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ৩২ রান।
তারপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৬৯ রানের আরেকটি জুটি তামিমের। সেই জুুটিটি ভেঙেছেন লুক জঙউই। জিম্বাবুইয়ান পেসারের স্লোয়ার এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়েছেন সাকিব। ৪২ বলে একটি করে চার-ছক্কায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার করেন ৩০ রান।
এর আগে ২৯৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে জিম্বাবুয়ে। রেগিস চাকাভা ওপেনিংয়ে নেমে ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দিয়েছেন। তারপরও অনেকটা সময় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা।