কিউবার বিরুদ্ধে বাইডেনের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট: July 23, 2021 |

সপ্তাহখানেক ধরে কিউবায় কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। অভিযোগ, কিউবার প্রশাসন বলপ্রয়োগ করে আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছে। যারা সে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধেই এবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বৃহস্পতিবার বাইডেন জানিয়েছেন, যেভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনরত মানুষের উপর কিউবার প্রশাসন আক্রমণ চালাচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। ৬২ বছর ধরে এই ভাবেই কণ্ঠরোধ করা হয়েছে কিউবার মানুষের। আমেরিকা আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছে। এক ব্যক্তি এবং একটি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির হাত আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, প্রয়োজনে কিউবার বিরুদ্ধে আরো কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

করোনাকালে কিউবার প্রশাসন ঠিকমতো ব্যবস্থা নিতে পারেনি, এই অভিযোগে পথে নেমেছেন কিউবার একাংশের মানুষ। তাদের বক্তব্য, সরকার করোনার মোকাবিলা করতে পারেনি। অন্যদিকে অর্থনীতির বেহাল অবস্থা। চাকরি নেই। খাদ্য সংকট। এই পরিস্থিতিতে সরকার কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামার পরে পাল্টা চাপ দেয় প্রশাসন। সেনা নামিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হয়। কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীদেরও রাস্তায় নেমে সরাসরি সংঘাতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত এক সপ্তাহে বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বহু বিক্ষোভকারী নিরুদ্দেশ বলেও অভিযোগ।

আমেরিকার দাবি, সেনা বাহিনীর প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা আলভারো লোপেজের নির্দেশেই এই সব কিছু হচ্ছে। সে কারণেই তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

কিউবার কমিউনিস্ট পার্টিকে কোনোদিনই ভালো চোখে দেখেনি আমেরিকা। বরাবরই দ্বীপরাষ্ট্রটির উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। বস্তুত, ইরান, কিউবা এবং উত্তর কোরিয়ার উপর আমেরিকা সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। তবে বারাক ওবামার সময় পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছিল। ওবামা নিজে কিউবা সফরে গিয়েছিলেন। বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন। ডনাল্ড ট্রাম্প এসে ফের পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যান।

নির্বাচনী প্রচারের সময় বাইডেন জানিয়েছিলেন, কিউবা প্রসঙ্গে তিনি ওবামার সঙ্গে সহমত। ক্ষমতায় এলে তিনি ওবামার পথে হাঁটবেন। কিন্তু বাইডেনের সাম্প্রতিক বিবৃতি দেখে মনে হচ্ছে, কিউবার প্রতি আরো কঠোর মনোভাবই নেবে মার্কিন প্রশাসন। এবং এ ক্ষেত্রে কিউবান আমেরিকানদের যথেষ্ট চাপ প্রশাসনের উপর আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স, এপি

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর