বাংলাদেশ থেকে নেপাল গেল ৫২ হাজার টন সার
নেপালে প্রথমবারের মতো সার রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ৫২ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নেপালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে হিমালয়বেষ্টিত দেশটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে সার আমদানি করল।
নেপালের কৃষিসামগ্রী কোম্পানি লিমিটেড (কেএসসিএল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার নেপালের কৃষিসামগ্রী কোম্পানি লিমিটেডের বীরগঞ্জ, বিরাটনগর ও ভৈরনহাজাওয়া প্রাদেশিক কার্যালয়ে জিটুজি ভিত্তিতে ক্রয় করা এসব সার পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন কেএসসিএল বীরগঞ্জ শাখার প্রধান গোরক্ষনাথ কেসি।
কোভিড মহামারি ও এর প্রভাবের কারণে সার আমদানি প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হয়েছে জানিয়ে কেএসসিএল-এর বীরগঞ্জ শাখার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ থেকে সারের অতিরিক্ত চালান আসায় কৃষকদের এবারের মৌসুমে আর সারের ঘাটতির মুখে পড়তে হবে না।
মূলত চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর হয়ে তৃতীয় দেশ থেকে নেপাল সার আমদানি করলেও নেপালে ইউরিয়ার সংকট এতটাই বেড়েছে যে আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের কাছ থেকে সরাসরি সার নেওয়াটাই বিকল্প মনে করছে দেশটি।
কর্ণফুলী ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে বাজার মূল্যে এসব ইউরিয়া ক্রয় করে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) নেপালের কেএসসিএল’র কাছে হস্তান্তর করে।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার সহায়তা হিসেবে চান। এরপর গত বছর ১৭ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে চুক্তি সই হয়।
জিটুজি চুক্তি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এবং নেপালের পক্ষে দেশটির কৃষিসামগ্রী কোম্পানি লিমিটেড (কেএসসিএল) চুক্তিটি সই করে।
জানা গেছে, নেপালকে যে ইউরিয়া সার দেওয়া হয়েছে তার প্রতি টনের মূল্য ২৬৩ ডলার। সেই হিসাবে সারের দাম হবে ১১১ কোটি ৭০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা।