রামেক হাসপাতালে করোনায় জুলাই মাসে মৃত্যু ৫৬৬
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পজিটিভ শনাক্ত এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও আটজন। এ নিয়ে জুলাই মাসে এ হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬৬ জনে। গত জুন মাসে মারা যায় ৪০৫ জন। জুনের চেয়ে জুলাই মাসে মৃত্যু বেড়েছে ১১৬।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনা ইউনিটে এই ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, জুলাই মাসে মৃত ৫৬৬ জনের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে ১৮৪ জনের। আর শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩৪৪ জন। বাকি ৩৮ জন মারা যায় করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায়।
তিনি আরও জানান, গত জুন মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান ৪০৫ জন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হওয়ার পর মারা গেছে ১৮৯ জন। বাকিরা মারা যায় করোনার উপসর্গ নিয়ে নমুনা পরীক্ষার আগেই। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৭, মার্চে ৩১, এপ্রিলে ৭৯ ও মে মাসে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, গত বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল জুলাই মাসে ১১১ জন। এছাড়াও গত বছরের মে মাসে পাঁচজন, জুনে ৩৭ জন, আগস্টে ৯৭ জন, সেপ্টেম্বরে ৫০ জন, অক্টোবরে ২৮ জন, নভেম্বরে ৩১ জন এবং ডিসেম্বর মাসে মারা যায় ৩৪ জন।
এদিকে, রামেকের পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর তিনজন ও পাবনার পাঁচজন। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। মৃতদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন ও ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগি ভর্তি হয়েছে ৪৮ জন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৪৩৩ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগিদের মধ্যে ১৮৮ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১৭৮ জন; যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন ৬৭ জন।
হাসপাতাল পরিচালক জানান, শুক্রবার দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এছাড়াও গত বুধবার শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।
