বঙ্গবন্ধুকন্যা এক ব্যতিক্রম প্রধানমন্ত্রী : এনামুল হক শামীম
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) কর্মকর্তাদের গবেষণার মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করে টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নিচ্ছে। আপনারা সঠিকভাবে নদী সমীক্ষা করবেন। নদীমাতৃর্ক বাংলাদেশের নদ-নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। মেধা যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ব মানের কর্মকর্তা হবেন। রুটিন কাজ নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করবেন। গবেষণার কোন বিকল্প নেই, আপনারা গবেষণা চালিয়ে যাবেন।’
আজ রাজধানীর গুলশানে সিইজিআইএস’র কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা এক ব্যতিক্রম প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভোট নিয়ে ভাবেন না। আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন।
তাই ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ দিয়েছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে চলেছেন। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছিলেন “দূর্যোগ মোকাবিলায় সারা বিশ্বে শেখ হাসিনা শিক্ষকের ভুমিকা পালন করে চলেছেন”।
তিনি বলেন, ‘আমরা নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী প্রকল্প নিচ্ছি। নদী ড্রেজিংসহ নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব বেশি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। কাজেই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন।’
উপ-মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে স্থায়ী প্রকল্প নিতে হবে। এজন্য সূদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা দরকার। প্রকল্প বাস্তবায়ন আন্তরিক হওয়া দরকার। যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে কোন কাজই বাঁধা নয়।
তিনি বলেন, আগে প্রতিবছর হাজার হাজার ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হতো। গত ১৩ বছর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার আসার পর লদী ভাঙ্গন কমে এসেছে। এজন্য দীর্ঘ ও মধ্যমমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করছি যাতে আর কেউ গৃহহারা না হন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান, কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ড. মাইনুল হক সরকার, মাহমুদুল হাসান, সাজ্জাত হাসান, মজিবুল হক, সারাফাজ ওয়াজেদ, দিলরুবা আহমেদ ও রফিকুল ইসলাম।