ফরিদপুর কুমার নদ হবে কচুরিপানা মুক্ত, ১৭ জুন স্বেচ্ছাশ্রমে অপসারণের আয়োজন


তারেকুজ্জামান, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের কুমার নদের সংস্কার ও কচুরিপানা অপসারণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৩জুন) সকাল ৯টায় ফরিদপুরের কুমার নদের আলীমুজ্জামান ব্রিজ সংলগ্ন প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে এসে এ নদটি বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন উন্নত দেশে কচুরিপানা অপসারণের জন্য কিট ব্যাবহার করা হয় আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে সেই কিট আনার জন্য। নদ-নদী যেন দখল ও দূষণমুক্ত থাকে সে ব্যাপারে সকলকে অবহিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা নৌপুলিশের কর্মকর্তারা এবং ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র।
এর আগে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলার কুমার নদসহ সকল নদ-নদীর কচুরিপানা পরিস্কার সংক্রান্ত এক সভা সোমবার(১২জুন) সন্ধ্যা ৭ টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার, এর সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তারা কুমার নদ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
আগামী ১৭ জুন শনিবার সকাল ৭টা থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ১০টি এলাকায় ভাগ করে কচুরিপানা অপসারণ করা হবে এবং এ নদটি সংস্কার করে সকলের ব্যাবহার উপযোগী করে তোলা হবে।
জেলা প্রশাসন অনুরোধ করেন যে, আপনার একদিনের স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে কুমার নদ আবার ফিরে পেতে পারে প্রাণ তাই পরিবেশ রক্ষায় সকলে শামিল হোন।
উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাহজাহান, পিপিএম, পুলিশ সুপার,বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ইয়াসিন কবির ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, সরকারি রাজন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহা, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী গোলাম মোস্তফা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকারসহ অন্যান্য সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এতে সার্বিক সহযোগিতা করবেন ফরিদপুর জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ।