সোমবার বসছে সুপ্রিম কোর্ট


নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই সৈয়দ রেফাত আহমেদ হাইকোর্টের ৮ বেঞ্চ গঠন করেছেন। এর পরেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ শুরুর সিদ্ধান্ত দেন। সিদ্ধান্তের আলোকে সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে বিচারকাজ শুরু করা হবে।
রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা দেয়ার নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় বলা হয়, আমি এতদ্বারা নির্দেশ করছি যে ,আগামী ১২ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য সীমিত আকারে পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লেখিত বেঞ্চসমূহ গঠন করা হলো।
এই বেঞ্চগুলোর মধ্যে ৫টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ৩টি একক বেঞ্চ। বেঞ্চগুলো হলো বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমান (রিট), বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ (দেওয়ানি), বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী (কোম্পানী বেঞ্চ), বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো.রিয়াজ উদ্দিন খান (রিট), বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা (দেওয়ানি ও ফৌজদারি), বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান (ফৌজদারি), বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজা (ফৌজদারি) এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ (দেওয়ানি)।
নির্দেশনা অনুযায়ী, সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে স্বল্প পরিসরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ৮টি বেঞ্চ বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট ম্যাটার শুনবেন।
বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর নেতৃত্বে দেওয়ানী মোকাদ্দমা শুনানি করবেন। বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী শুনবেন সাকসেশনের মামলা।
বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ ভ্যাট ট্যাক্স সংক্রান্ত মামলা শুনবেন। বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা শুনবেন মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলা। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের বেঞ্চ শুনবেন রিট।
বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনবেন ফৌজদারি মোশন। এছাড়া বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ শুনবেন দেওয়ানী মোকাদ্দমা।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। তিন দিন পর, অর্থাৎ ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এ দিন থেকে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।