লক্ষ্মীপুরে ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা


অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যার ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আনুমানিক ১০টার সময় চন্দ্রগঞ্জ থানার ১৮নং কুশাখালী ইউপির ০৯নং ওয়ার্ডস্থ ঝাউডগীতে স্বামী হারুন অর রশিদের বসত ঘরের পিছনে নুর মোহাম্মদ ডাক্তার এর বাড়ীর পুকুরের উত্তর পূর্ব কোণায় পুকুর পাড়ে জেসমিন(৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ পাওয়া যায়।
জায়গা সম্পত্তিসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে মো. হিরন ও তার স্ত্রী কে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে সু-পরিকল্পিতভাবে জেসমিন’কে হত্যা করে তার স্বামী।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বামী হারুন উর রশিদ নিজেই আদালতে স্ত্রীর হত্যার ঘটনা শিকার করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন প্রেস রিলিজে জানান স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিযে হত্যা করা হয়।
উক্ত ঘটনাকে ডাকাতির ঘটনা সাজানোর জন্য আসামী মো. হারুন অর রশিদ তার হাতে থাকা দা দিয়ে নিজ হাতে এবং ঘাঁড়ে কাটা জখম করে।
পরবর্তীতে ধৃত আসামী মোঃ হারুন অর রশিদ দায়ে লেগে থাকা রক্ত পুকুরের পানিতে ধুয়ে বসত ঘরে রেখে তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী আজাদ মাঝির বাড়ীতে দৌড়ে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে শোর চিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড়ো করে।
আশপাশের লোকজন বাড়ীতে আসলে সে জানায়, মো. হিরন ও তার স্ত্রী সহ ৭/৮ জনের ডাকাতদল তাকে এবং তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার কে আক্রমণ করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তারপর আসামী হারুন অর রশিদ তার স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজির অজুহাতে আশপাশের লোকজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জেসমিন আক্তারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সংবাদ দিলে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল প্রেরণ করে।
পরবর্তীতে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৭টায় আসামী মো. হারুন অর রশিদ’কে গ্রেফতারপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
পরবর্তীতে রবিবার (২০ অক্টোবর) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মো. হারুন উর রশিদ।