আগামী জুনের মধ্যে ধূসর তালিকায় থাকতে হবে পাকিস্তানকে
ফেব্রুয়ারী মাসে ৩ দিনব্যাপী এফএটিএফের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাধ্যতামূলক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পাকিস্তান সরকারের অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সদস্যরা। পাকিস্তানের জিডিপিতে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হওয়ায় আগামী জুনের মধ্যে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় থাকতে হবে।
এফএটিএফের প্রেসিডেন্ট মার্কাস প্লেয়ার বলেন, ‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করার ব্যবস্থায় কিছু ঘাটতি রয়েছে। ধূসর তালিকা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার জন্য ২৭টি অ্যাকশনের প্লানের মধ্যে ইসলামাবাদকে আরো তিনটি পূরণ করতে হবে। তাদেরকে এগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ করছি।’
২০১৮ সাল থেকে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করার কারণে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অবৈধ অর্থায়ন ওয়াচডগের ধূসর তালিকায় রয়েছে। যা দেশটির প্রবৃদ্ধি উন্নয়ন সূচকে (জিডিপি) মারাত্বক প্রভাব ফেলছে।
এক গবেষণার তথ্যমতে, ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ধূসর তালিকার থাকার ফলে তাদের জিডিপিতে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১২-২০১৫ সালেই ক্ষতি হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান তাদের পার্শ্ববর্তী আফগানিস্তান ও ভারতে সন্ত্রাসবাদ তৈরি, আশ্রয়, অর্থায়ন ও রপ্তানি করে আসছে। দেশটির নাম সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে ধূসর তালিকায় অন্তভুক্ত হয়। এর কয়েক বছর পর নাম প্রত্যাহার করা হলেও ২০১২ সালে আবারও তাদের সেখানে যুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের নাম তালিকায় থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
বৈশাখী নিউজ/ জেপা