আজ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন

আপডেট: July 27, 2021 |

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন আজ মঙ্গলবার। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সজীব ওয়াজেদের নাম ‘জয়’ রাখেন তাঁর নানা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার প্রতিকূল সময়ে মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে আসেন। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সজীব ওয়াজেদ জয় সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়া করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আর্লিংটনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ব্যাচেলর অব সায়েন্স এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে লোকপ্রশাসনের ওপর মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।

জয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০৭ সালে ডাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মাধ্যমে বিশ্বের ২৫০ জন তরুণ বিশ্ব নেতৃত্বের মধ্যে একজন নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্লোগান যুক্ত হয়, তার নেপথ্যে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। পরবর্তী সময়ে নেপথ্যে থেকে পুরো বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে একটি শক্তিশালী আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা, ই-গভর্ন্যান্স প্রবর্তন এবং বৃহত্ পরিসরে আইটি শিক্ষা চালুর মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশদ ধারণাপত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান কারিগর হিসেবে কাজ করছেন। আওয়ামী লীগের ‘ভিশন ২০২১’ ইশতেহার প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধুর এই জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র।

২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ এবং তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

দেশ গঠনে তরুণদের মতামত ও পরামর্শ শুনতে জয়ের ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ প্রগ্রাম দুটি বেশ সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়া তিনি তরুণ উদ্যোক্তা ও তরুণ নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’র সূচনা করেন।

২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তার নাম সোফিয়া ওয়াজেদ। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ লাভ করেন। এভাবেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে তাঁর যাত্রা শুরু হয়।

‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি : পথিকৃত্ মুজিব হতে সজীব’ শীর্ষক ওয়েবিনার আজ : সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি : পথিকৃত্ মুজিব হতে সজীব’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচারিত হবে আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/awamileague.1949 এবং অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল https://www.youtube.com/user/myalbd.-এ। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ ছাড়া যুবলীগের উদ্যোগে আজ সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল সব জেলা ও মহানগর, উপজেলা ও থানা এবং পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নেতাদের মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোয় দোয়া-প্রার্থনার আয়োজন এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈশাখীনিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর