উচ্চশিক্ষিতের বাড়িতে প্রচুর এডিসের লার্ভা

আপডেট: August 25, 2021 |

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উচ্চশিক্ষিত অনেকের বাসায় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার প্রচুর লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে, যা দুঃখজনক।

আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয়’ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার পরেও ২০২০-এর তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে। লকডাউনের কারণে নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ বন্ধ থাকা, অনেক নগরবাসীর বাসা খালি রেখে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়া—এবার এডিশ মশা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০-এর সাফল্যের পর আশা করেছিলাম, এবারও ডেঙ্গু কম হবে, কিন্তু নানা কারণে সেটা হয়নি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নয়, ইন্ট্রিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানজমেন্ট করতে যাচ্ছি। এটির জন্য কাজ চলছে। সারাদেশের জন্য এটি করব। আমাদের কাছে ভরসার জায়গা হলো গ্রামে এডিস মশার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। যেখানে নিচে মাটি আছে, সেখানে মশা ডিম পাড়লেও তা ফুটবে না। পরিবেশের ক্ষতি না হয় সেটা মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।

মশার বিস্তৃতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়ে গ্লোবাল সিনারিও অনুযায়ী আমাদের মন্দের ভালো।

একটা সন্তুষ্টির জায়গা হলো আমরা এই পর্যায় পর্যন্ত রাখতে পেরেছি। বৃষ্টি বেশি হলে সমস্যা না, যদি ভারী বৃষ্টি হয়। থেমে থেমে বৃষ্টি হলে, পানি জমা থাকলে সমস্যা। যদি ছাদ বাগান করেন তাহলে ফুলের টবের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল দিয়ে দেন। ফলে প্রতিদিন পানি সরাতে হবে না। কেরোসিন দিলে সেখানে লার্ভা হবে না।

আগে একটা কোম্পানিকে কীটনাশক আমদানির অনুমতি থাকলেও এখন তা ওপেন করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন কিছু বেসরকারি কোম্পানি সেই কীটনাশক আনছে, সেগুলো দোকানে দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করব।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর